Sonarpur Suicide: ‘কুর্তি কেনার টাকাও নিয়েছে…’, প্রেমিকার অন্য সম্পর্ক মানতে পারেননি যুবক, চরম অবস্থায় উদ্ধার

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 31, 2022 | 4:14 PM

Sonarpur: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বৈকুণ্ঠপুরের ঘটনা। মৃতের নাম আকাশ চৌধুরী। আকাশ গড়িয়া অ্যান্ড্রুজ কলেজের ইতিহাস অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

Sonarpur Suicide: কুর্তি কেনার টাকাও নিয়েছে..., প্রেমিকার অন্য সম্পর্ক মানতে পারেননি যুবক, চরম অবস্থায় উদ্ধার
আত্মঘাতী ছাত্র (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

সোনারপুর: চিঠিটার শুরুটা ছিল দোষারোপ করে। লেখা ছিল, ‘কখনও ক্যান্টিনের টাকা, কখনও কুর্তি কেনার টাকা নিয়েছে…তিন বছর ধরে ব্যবহার করেছে আমাকে, এখন এম এ করতে গিয়ে অন্যকে ব্যবহার করবে…’ অভিযোগ এখানেই শেষ নয়, আরও একাধিক। আর পাহাড় প্রমাণ এই সকল অভিযোগ একটি সাদা কাগজে লিখে নিজেকে শেষ করে দিলেন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। প্রেমে প্রত্যাখান, আর তার জন্যই এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত।

কী ঘটেছে?

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বৈকুণ্ঠপুরের ঘটনা। মৃতের নাম আকাশ চৌধুরী। আকাশ গড়িয়া অ্যান্ড্রুজ কলেজের ইতিহাস অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। কলেজে থাকাকালীন এক সহপাঠীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিকার আবদার মেটাতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস তাঁকে উপহার হিসেবে তুলে দিতেন আকাশ দাবি পরিবারের। তবে টেকেনি প্রেম। আড়াই বছর পর প্রেমিকার মন চলে যায় অন্যর দিকে। অভিযোগ, সম্প্রতি মেয়েটির অন্য একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলত, আকাশের সাথে সম্পর্ক রাখতে অস্বীকার করে।

এরপর সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিকাকে দায়ী করে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হয় আকাশ। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়েন তিনি। ঘটনায় প্রেমিকার শাস্তির দাবি জানিয়ে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের আকাশের পরিবারের। আজ আকাশের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। এই ঘটনায় আকাশের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সুত্রে।

এই বিষয়ে আকাশের কাকা বলেন, ‘কলেজে গিয়েছিল। ঘর খালি ছিল। বৌদি পুজোর বাড়িতে গিয়েছিল। ভইজি সন্ধ্যেবেলা বাড়ি ফিরে আসে। দরজায় কড়া নাড়তে থাকে। কিন্তু দরজা খোলেনি। এরপর দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি ভাইপো গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। তারপর নামানো হল নিচে। আজ পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি ওর মনে এত কষ্ট ছিল। সবটা সুইসাইড নোটে লিখে রেখে গিয়েছে।’ অন্যদিকে মৃতের মা বলেন, ‘ওই একটা মেয়ে আমার সব শেষ করে দিল।’

Next Article