Covid Spike: কোভিড আক্রান্ত ২০ জন মাইক্রোবায়োলজিস্ট, নমুনা পরীক্ষা কারা করবে, সাগর মেলার আগে উদ্বেগ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 09, 2022 | 6:40 PM

Covid-19: শুধুমাত্র ডায়মন্ড হারবার স্টেট জেনারেল হাসপাতালেই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে একের পর এক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এইভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন।

Covid Spike: কোভিড আক্রান্ত ২০ জন মাইক্রোবায়োলজিস্ট, নমুনা পরীক্ষা কারা করবে, সাগর মেলার আগে উদ্বেগ
মাইক্রোবায়োলজিস্টদের মধ্যে বাড়ছে সংক্রমণ। ছবি পিটিআই।

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। তার আগেই সঙ্কটের মুখে ডায়মন্ড হারবার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। কোভিড পরীক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে আশঙ্কার আবহ হাসপাতালের অন্দরে। কারণ, অন্তত ২০ জন মাইক্রোবায়োলজিস্ট এই মুহূর্তে কোভিড সংক্রমিত বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।

দিনে ১৪০০ নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও রবিবার মাত্র ৬০০টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে ডায়মন্ড হারবার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কর্মীর অভাবে ঘোরাল হচ্ছে পরিস্থিতি। সূত্রের দাবি, এই অবস্থায় কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে চিন্তিত জেলা প্রশাসন। কারণ, যত কম পরীক্ষা হবে, সংক্রমণও কম ধরা পড়বে। ফলে রোগী সতর্ক না হলে হু হু করে উঠবে কোভিড গ্রাফ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ জন মাইক্রোবায়োলজিস্ট একসঙ্গে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে এই পরীক্ষার জন্য ‘এক্সপার্ট’। সূত্রের খবর, তাঁরা এই মুহূর্তে কাজে যোগ দিতে না পারায় অন্য বিভাগ থেকে বিশেষজ্ঞ এনে আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার ৬০০টি নমুনা পরীক্ষা হলেও শনিবার আরও কম ছিল এই পরীক্ষার গ্রাফ।

তবে শুধুমাত্র ডায়মন্ড হারবার স্টেট জেনারেল হাসপাতালেই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে একের পর এক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এইভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন। তার ফলে জেলায় করোনা পরীক্ষার যে পরিকাঠামো তা কিন্তু বিঘ্নিত হচ্ছে। একদিকে ওমিক্রনের দাপট, অন্যদিকে আবার করোনায় কাবু রাজ্য। এর মধ্যে গঙ্গাসাগর মেলা। হাইকোর্টের শর্ত মেনে মেলা পরিচালনা আদৌ কি সম্ভব এ নিয়েও নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠছে।

কোভিড সংক্রমণ যাতে গঙ্গাসাগরে বল্গাহীন হয়ে না পড়ে, তার জন্য হাইকোর্টের কাছে দায়বদ্ধ জেলাপ্রশাসন। স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, সম্ভবত সে কারণেই শনিবার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা জারি করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, নির্দেশিকায় প্রতিটি ব্লক, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বাধ্যতামূলক।

আগামী দশদিন কোনও মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ছুটি নেই। ছুটি বাতিল করা হয়েছে কোভিড যোদ্ধাদেরও। কিন্তু এই নির্দেশ কতখানি মেনে চলা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সংগঠনের সদস্যরা। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সংগঠনের নেতা সমিত মণ্ডল বলেন, “বেশির ভাগ হাসপাতালেই আমাদের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পজিটিভ। তাঁরা অসুস্থ। ফলে সেই জায়গায় টেস্টিং ও স্যাম্পেল কালেকশনের একটা হাহাকার তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে যদি স্বাস্থ্য পরিষেবা টিকিয়ে রাখতে হয়, কোভিডকালে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে হয় তা হলে মাননীয় স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ অবিলম্বে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাবেরটরির লোক নিয়োগ করুন।”

আরও পড়ুন: SET Exam: কোভিড আবহে সুষ্ঠুভাবেই মিটল ‘সেট’, তিন মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ

Next Article