দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ছাগল ছাগল খেলা খেলতে গিয়ে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু স্কুল ছাত্রের। গ্রামের বাচ্চাদের অনেকেই এখনও এই খেলা খেলে। ছাগল যেভাবে মাঠে ঘাস খায়, দুই বন্ধু ঠিক সেই ভাবেই খেলছিল। এক জন হয়েছিল পোষ্য ছাগল। অপরজন মালিক। গলায় দড়ি বেঁধে ‘পোষ্য’কে ঘাস খাওয়াচ্ছিল বন্ধু। বুধবার স্কুল যাওয়ার আগে এই খেলা খেলতে গিয়ে গলায় ভিজে গামছায় শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হল এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের। মৃত ওই ছাত্রের নাম হাসিবুর রহমান মোল্লা (৯)। বাড়ি জীবনতলা থানার কালিকাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের যশোরপাড়া গ্রামে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা সাহিদ আলি মোল্লা ও সেরিনা মোল্লার তিন ছেলে, দুই মেয়ে। হাসিবুর ভাইদের মধ্যে মেজো ছেলে। সাহিদ আলি মোল্লা কলকাতায় দিনমজুরের কাজ করেন। ছোট্ট হাসিবুর কেওড়াতলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। এদিন ওই স্কুলের শ্রেণি শিক্ষক শক্তিপদ হালদার উপস্থিতির হার দেখার সময় দেখেন হাসিবুর স্কুলে আসেনি।
স্কুলের শ্রেণিশিক্ষক তখনই তার সহপাঠীদের কাছে জানতে চান কেন সে স্কুলে আসেনি। তখন তার সহপাঠীরা ওই শিক্ষককে জানায় স্কুলে আসার কিছুক্ষণ আগে তারা দেখেছিল হাসিবুর বাড়ির সামনে ‘ছাগল ছাগল’ খেলা খেলছিল। তারপরই বিষয়টি খোঁজ নিতে হাসিবুরের বাড়িতে যান শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা হাসিবুরের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান, ঘরের মেঝেতে ছোট্ট হাসিবুরের নিথর দেহটা পড়ে রয়েছে। কাঁদতে কাঁদতে বাচ্চাটার মা বললেন, ” স্কুলে যাওয়ার জন্য জামাকাপড়ও পরিয়ে দিয়েছিলাম। বন্ধুরা একসঙ্গে যেত স্কুলে। ডাকতে দেরি করেছিল এদিন। বাড়ির উঠোনে শিরিষ গাছের গলায় ভিজে গামছা জড়িয়ে ‘ছাগল ছাগল’ খেলছিল। আমি কাজই করছিলাম। তারপর তো দেখি ও পড়ে রয়েছে।”
ক্যানিং ২ ব্লকের মঠেরদীঘি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শ্বাসরোধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।