দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাড়িতে নানান ইস্যুতে ঝামেলা লেগেই থাকত। বাবা-মা আর দুই ছেলের সংসার। বড় ছেলে সেরকম একটা আয় করেন না। বিভিন্ন ইস্যুতে ঝামেলা হয়। সোমবার সকালেও হয়েছিল। কিন্তু রোজকার বিষয় ভেবে তাতে খুব একটা বিশেষ আমল দেননি প্রতিবেশীরা। ঝামেলার কিছু পরে মা-কে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেনও তাঁরা। যাওয়ার সময়ে প্রতিবেশীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, ছেলে চা খাওয়া নিয়ে ঝামেলা করছে। এরই মধ্যে সেই বাড়ি থেকে আর্তনাদ। যতক্ষণে বিপদ আঁচ করে প্রতিবেশীরা সেখানে যান, ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে অনেক। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মাটি, পাশেই পড়ে বৃদ্ধের দেহ। নৃশংসভাবে বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি এলাকায়। মৃতের নাম দুলাল গায়েন (৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চা খাওয়া নিয়ে বচসার জেরে রায়দিঘি থানার উত্তর কুমড়ো পাড়া এলাকার বাসিন্দা দীপঙ্কর গায়েনের হাতে নৃশংসভাবে খুন হতে হল প্রৌঢ় দুলাল। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে দীপঙ্কর গায়েনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রের খবর, বছর ছয়েক আগে রায়দিঘির খাঁড়ি এলাকা থেকে গিয়ে কুমড়োপাড়া এলাকায় জায়গা কিনে ঘর বেঁধে বসবাস শুরু করেছিলেন দুলাল। দুই ছেলের মধ্যে দীপঙ্কর বড়। ছোট ছেলের আয়ে সংসার চলত। কিন্তু মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন কারণে বাবা ও বড় ছেলের মধ্যে মাঝেমধ্যেই বচসা হত। তবে তা মিটেও যেত। কিন্তু এদিন সকালে চা খাওয়া নিয়ে আবারও নতুন করে চা খাওয়া নিয়ে বচসা শুরু হয়।
এরমধ্যে দুলালের স্ত্রী মালতি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে, চা না পেয়ে শাবল দিয়ে বাবার মাথায় ও মুখে আঘাত করেন দীপঙ্কর, অভিযোগ তেমনই। পরিবারের লোকজন দীপঙ্করকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।