দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ৪ বছর ধরে বন্ধ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পড়াশোনা। খিচুড়ি নিয়ে ফিরতে হচ্ছে অভিভাবকদের। আমফান ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল।তারপর থেকে পড়াশোনা শিঁকেয় উঠেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার ভাণ্ডারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চামনি এলাকার ১০৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের পঠনপাঠন।
বিষ্ণুপুর বিধানসভার ১ নম্বর ব্লকের এমন হাল! তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিরোধীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, দীর্ঘ দিন ধরে পড়াশোনা বন্ধ এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা বেশি। সব মিলিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা দাবি করেন, যে ছাত্র ছাত্রী মিলিয়ে ৯০ জনের খাবার তৈরি করতে হয় । খাবার তৈরি হয় ঠিকই। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসে খুবই কম। শুধু দুপুরে অভিভাবকরা এসে স্কুলে থেকে খিচুড়ি কৌটো করে নিয়ে যান।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নতুন ভবন তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু তা তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় ৪ বছর ধরে বন্ধ পড়ে রয়েছে স্কুল। ডায়মন্ড হারবার জেলা বিজেপির সহসভাপতি সুফল ঘাটু বক্তব্য, “যে সরকারের শিক্ষামন্ত্রী জেলে যায়, চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে থাকে, আর অশিক্ষিতরা চাকরি করে, সে রাজ্যে আর কী হতে পারে।” যদিও তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সামিম হোসেন মোল্লা বলেন, “আগের প্রধান কী করেছিলেন, সেটা জানা নেই। আমি সদ্য নির্বাচিত হয়েছি। আমি প্রতি সপ্তাহেই বুথ ভিজিট করি। আমার নজরে পড়েছে। আমি বুথের সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছি। একটা ঘর দেখা হয়েছে। যাতে বাচ্চারা আপাতত সেখানে পড়াশোনাটা করতে পারে।”