দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের নদীতে ট্রলার ডুবিতে। সোমবার ভোর রাতে জলোচ্ছ্বাস ও দমকা বাতাসের মুখে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার হাতানিয়া- দোয়ানিয়া নদীতে উল্টে গেল এফবি শঙ্খচক্র নামের একটি মৎস্যজীবী ট্রলার। জানা যাচ্ছে, ট্রলারে ১৫ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। বিপদ বুঝতে পেরে প্রত্যেকেই নদীতে ঝাঁপ দেন।
কপাল জোরে তাঁরা ওই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই সাঁতরে পাড়ে ওঠেন। দু’মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর আগামী পরশু থেকে শুরু হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ শিকার। কাকদ্বীপ, নামখানা-সহ সুন্দরবনের সমস্ত ঘাটে চলছে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার শেষ প্রস্তুতি।
এই ট্রলারটিও নামখানা বন্দরের কাছে প্রস্তুতি নিয়ে তৈরি ছিল। কিন্তু তার আগেই জোয়ারের সময় নদীর জলোচ্ছ্বাস ও দমকা বাতাসের মুখে পড়ে ট্রলারটি পুরোপুরি উল্টে যায়। সকাল থেকে ডুবো ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ প্রসঙ্গে সুন্দরবন শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, “ট্রলারটির সমস্ত রকম প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল। জোয়ার ভাটার সময়ে নাইট ডিউটি দিতে হয়। সে সময় লোক ছিল না। ট্রলারটা বেসামাল হয়ে যায়। আর রক্ষা করা যায় না।”
কিছুদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির কাছে ট্রলারডুবিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ছিলেন ৭ মৎস্যজীবী। গত বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম থেকে ট্রলারে করে পেটুয়াঘাট বন্দরের দিকে যাচ্ছিল ১২ জনের মৎস্যজীবীর দল। যাওয়ার পথে মসনদ-ই আলার কাছে চড়ে ধাক্কা লাগে শেখ তাজেমানের এফবি আলামিন ৪ নামের ওই ট্রলারটির। ধাক্কার চোটে উল্টে যায় ট্রলারটি। ১২ জনই জলে পড়ে যান। ৫ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মৃত্যু হয় ২ জনের।
১৫ জুন থেকে আবারও মাছ ধরার অনুমতি মিলছে। তারপর থেকেই ট্রলার নিয়ে রওনা দিচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু আবহাওয়ার প্রতিকূলতার জন্য বারবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের।