দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নির্বাচনের মুখে আবারও উত্তপ্ত ভাঙড়। ফের তৃণমূল (TMC) ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ (ISF)-এর মধ্যে ব্যাপক ঝামেলার অভিযোগ উঠল সোমবার রাতে। ব্যাপক বোমাবাজির পাশাপাশি এলাকায় বাড়ি ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। ভাঙড়ের মাঝেরআইট এলাকার ঘটনা। সূত্রের দাবি, ঝামেলার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে এলাকায় পৌঁছলেও দীর্ঘক্ষণ ভিতরে ঢুকতেই পারেনি। গভীর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এই ঘটনায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। তাদের অভিযোগ, দেখে দেখে আইএসএফের কর্মীদেরই পুলিশ আটক করছে।
পঞ্চায়েত ভোটের আবহে প্রথম থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। শাসকদলের সঙ্গে আইএসএফের ঝামেলার দিকেই অভিযোগের আঙুল। বোমা, গুলি, প্রাণহানি পর্যন্ত দেখেছে ভোটের ভাঙড়। ইতিমধ্যেই জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছেছে। তাদের নিরাপত্তাতেই ভোট হবে আগামী ৮ জুলাই।
কিন্তু হিংসা থেকে ভাঙড়কে কোনওভাবেই আলাদা করা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই এই হিংসা নিয়ে সরব হয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছেন আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। কিন্তু অভিযোগ, কর্মীদের সঙ্গে শাসকদলের কর্মীদের ঝামেলা থামানোই যাচ্ছে না।
কিছুদিন আগে বিধানসভায় ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে সৌজন্য বিনিময় করে বলতে শোনা গিয়েছে, ১০০ শতাংশ শান্তিপূর্ণ ভোট করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। নওশাদ বলেছেন, মানুষ যা রায় দেবে তা মাথা পেতে নেবে তাঁর দল। শওকতও বলেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণ ভোটেই বিশ্বাস রাখেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তবের চিত্রটা সত্যিই কি তেমন? সোমবার রাতের ঘটনা উস্কে দিচ্ছে সে প্রশ্নই।