Bhangar: শ্বশুরবাড়িতে থাকেন, ‘নেই কাগজ’! ভাঙড়ে যুবকের মৃত্যুতে ফের SIR আতঙ্কের তত্ত্ব
Bhangar Suicide: সফিকূলের স্ত্রী বলেন, "খালি আমাকে বলত, আমার কাছে তো কোনও কাগজপত্র নেই। আমাকে তো এখান থেকে বার করে দেবে। এই সমস্ত কথা দুদিন ধরে বলছিল।" মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। বুধবার সকালে তাঁর স্ত্রী ও ছেলে কাজে বেরিয়ে যান। সকালে ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এসআইআর আবহে আরও এক আত্মহত্যার খবর। আর তাতেও উঠল সেই আতঙ্কের অভিযোগ। আগরপাড়া, ইলামবাজার, জামালপুর, রামনগর, মুর্শিদাবাদের কান্দির পর এবার ভাঙড়। ভাঙড়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। পরিবারের দাবি, এসআইআর আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁদের জামাই। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সফিকূল গাজী। খবর পেয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।
সফিকূলের স্ত্রী জানাচ্ছেন, কয়েকদিন ধরেই আতঙ্কে ভুগছিলেন তাঁর স্বামী। কারোর সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলছিলেন না তিনি। খাওয়াদাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। মাঝেমধ্যে কাগজপত্র নিয়ে বসতেন। আর স্ত্রীকে বলতেন, তাঁদের কাছে সব কাগজ নেই।
সফিকূলের স্ত্রী বলেন, “খালি আমাকে বলত, আমার কাছে তো কোনও কাগজপত্র নেই। আমাকে তো এখান থেকে বার করে দেবে। এই সমস্ত কথা দুদিন ধরে বলছিল।” মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। বুধবার সকালে তাঁর স্ত্রী ও ছেলে কাজে বেরিয়ে যান। সকালে ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
ভাঙড়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ি, এখানেই ও থাকতেন। তাঁর আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। শওকত মোল্লা নিজেই বললেন, “আমি শুনেছি ওর বাবা-মায়ের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। যেখানে বাড়ি, সেখানে কাগজ রয়েছে। কিন্তু ওর নিজের কোনও কাগজ নেই। জমিজায়গারও দলিল নেই। সেই হতাশা থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বিজেপিকে এর জবাব দিতে হবে। গতকাল পর্যন্ত সাত জন, আজ ৮! বিজেপিকে এই মৃত্যু মিছিলের দায় নিতে হবে।”
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এসআইআর তৃণমূলের অবস্থা এতই খারাপ করে দিয়েছে। এখন মৃতদেহের রাজনীতি করছে তৃণমূল। শুধু খবর রাখতে হবে, কে কোথায় মরছে!”
