পতিরাম: এক কলেজ ছাত্রীকে ফাঁকা ক্লাসে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম যামিনী মজুমদার মেমোরিয়াল কলেজে। এদিকে অভিযোগ পেতেই অধ্যাপককে ক্লাস থেকে সাসপেন্ড করল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পতিরাম কলেজে।
জানা গিয়েছে, গতকাল বিকেলে পতিরাম যামিনী মজুমদার মেমোরিয়াল কলেজে সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক সুবীর কুন্ডুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি এক কলেজে ছাত্রীকে ক্লাসে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করেছেন। ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে সকলে ছুটে আসেন। অবস্থা বেগতিক দেখে সেখান থেকে সরে যান ওই অধ্যাপক। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই কলেজ চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তার পর কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রিন্সিপাল রামকৃষ্ণ মন্ডল।
বুধবার বিষয়টি জানতে পেরে আজকের মত তিনি সংস্কৃতি বিভাগের ক্লাস সাসপেন্ড করেন এবং অভিযোগ ওঠা ওই অধ্যাপককে বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেন। এনিয়ে মৌখিক ভাবে ছাত্র ইউনিয়ন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে৷ অভিযোগ উঠতেই কলেজের অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মন্ডল এনিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং এর তদন্ত শুরু করেছেন। অভিযোগ প্রমাণ হলে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ।
এবিষয়ে পতিরাম কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, “মঙ্গলবার আমি কলেজের কাজে বাইরে গিয়েছিলাম। বিকেলে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ওই অধ্যাপকের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছি। পাশাপাশি বুধবার কলেজে আসার পরে কলেজে না আসার নির্দেশ দিয়েছি। আপাতত ওই অধ্যাপকের ক্লাস সাসপেন্ড করেছি। আমরা একটা তদন্ত কমেটি গঠন করেছি। উনি দোষী প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
এদিকে বিষয়টি জানা নেই বলে পতিরাম যামিনী মজুমদার মেমোরিয়াল কলেজ তৃণমূল পরিষদে ছাত্র ইউনিটের সম্পাদক রুবেল মন্ডল জানিয়েছেন। পুরো ঘটনা তাঁরাও খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তাঁরা লড়ছেন বলে জানান রুবেল। অন্যদিকে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
উত্তাল সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। উঠল অধ্যাপকের অপসারণের দাবি। চলল অবস্থান বিক্ষোভ। তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, অফলাইন পরীক্ষার নাম করে দমদমের ফ্ল্যাটে ডেকে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন অধ্যাপক পরিতোষ দাস। ইতিমধ্যে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন ছাত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও কানে গিয়েছে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। উপাচার্য ডক্টর সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় টিভি নাইন বাংলাকে জানিয়েছেন, অভিযোগপত্র পেলেই তদন্ত কমিটি গড়ে ঘটনা খতিয়ে দেখবে বিশ্ববিদ্যালয়।