দক্ষিণ ২৪ পরগনা: “ভাট বাটোয়ারা নিয়েই বিবাদ, আর তাতে খুন।” ক্যানিংয়ে তৃৃণমূল নেতা-সহ তিন জনের খুনের ঘটনায় মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার পাথরপ্রতিমার রামগঙ্গায় রাজ্য সরকারের দুর্নীতি ও অপশাসনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভায় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য। সভা থেকেই একাধিক ইস্যুতে সোচ্চার হন তিনি। ক্যানিংয়ের খুন ছাড়া কেন্দ্রের প্রকল্প রাজ্য নিজের নামে চালানোর বিষয়টি নিয়েও সোচ্চার হন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল না করলে কেন্দ্রীয় সরকারের কোন প্রকল্পে আর টাকা দেবে না কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবারের সভায় বক্তৃতা রাখার সময়ে তিনি প্রাথমিকের টেট দুর্নীতিতে পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য-সহ এক আধিকারিকের বাড়িতে সিবিআইয়ের তল্লাশি প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “মানিক ভট্টাচার্য-সহ প্রত্যেকের বাড়িতে হানা হবে। কারণ ওঁরা ১৫ লক্ষ, ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরি নিলাম করেছে। এই হানা আরও আগে হলে ভাল হত।”
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে সরকারি একাধিক প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও কথা বলেছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ নিয়ে যে সাফল্যের খতিয়ান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা খারিজ করে দিয়েছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “এ রাজ্যে দু’বছর স্কুল বন্ধ ছিল। স্কুল ছুট বেড়েছে। সবটাই ভাঁওতা।”
বৃহস্পতিবারই ক্যানিংয়ের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এক তৃণমূল নেতা-সহ তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়। কুপিয়ে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। তারপর দেহ ফেলে রাখা হয় গ্রামে রাস্তার ধারে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় রাজ্যে শোরগোল পড়ে যায়। ক্যানিংয়ে তিন তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “পঞ্চায়েত হল মধুভাণ্ড। নিজেদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে খুন, সারা রাজ্যজুড়ে এই খুনোখুনি চলছে।”