বকখালি: শীতকাল মানেই এখানে ওখানে ঢুঁ মেরে আসে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি। তালিকায় দিঘা যেমন আছে এখন অন্যতম পছন্দের স্থান বকখালি। তবে বকখালির সৌন্দর্য যে ঝাউগাছ তা এখন ধ্বংসের মুখে। কারণ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বড় বড় গাছ।
বকখালির অন্যতম আকর্ষণ আদিগন্ত বালিরাশির মধ্যে ঝাউবন। সমুদ্র সৈকতের বড় অংশজুড়ে রয়েছে এই ঝাউ বন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে বারে বারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ঝাউ বন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এই দিনে দুপুরে এই ঝাউগাছ কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। আর টিভি ৯ বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল গাছ কেটে ফেলার সেই ছবি। ক্যামেরা দেখে কেউ যেমন দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন, কেউ আবার তেড়ে আসছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঝাউ বন ধ্বংস নির্বিচারে চলছে। বনকর্মীদের নজরদারির অভাবে এই কাজ চলছে। এর ফলে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। বকখালি আকর্ষণও হারাচ্ছে। স্থানীয় ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েতের প্রধান কাশীনাথ জানা জানিয়েছেন,”বিষয়টি নজরে আসার পর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ ও বনদপ্তরকে জানিয়েছি।” অপরদিকে, গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি শ্রীমন্ত মালিও ঝাউবন ধ্বংস নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি জানান,”দ্রুত বযাবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিচ্ছি।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল জানিয়েছেন,”আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। মহিলা বনকর্মী ও পুলিশ কর্মীরা এলাকায় টহলদারি চালাবে।”