ডায়মন্ড হারবার : ছিল বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন (Bar Association Election)। সেই নির্বাচনে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ আইনজীবীদের বিরুদ্ধ এককাট্টা হয়েছিলেন বিরোধী আইনজীবীরা। আর তাঁদের এই জোট হারিয়ে দিল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ আইনজীবীদের প্যানেলকে। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ড হারবারের ক্রিমিন্যাল কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের দখল নিল বিরোধী প্যানেল।
ডায়মন্ড হারবারের ক্রিমিন্যাল কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন শাসক ঘনিষ্ঠ প্যানেলের দখলে ছিল। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে সমস্ত বিরোধী মনোভাবাপন্ন আইনজীবীরা এককাট্টা হয়ে লড়াই করেন। গতকাল এই নির্বাচনে ৮টি আসনের মধ্যে ৬টি আসন পেয়েছেন বিরোধী প্যানেলের প্রার্থীরা। ২টি আসন পেয়েছেন শাসকদলের ঘনিষ্ঠ প্রার্থীরা। উল্লেখযোগ্যভাবে পরাজিত হয়েছেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীপ চক্রবর্তী ও সম্পাদক সুদীপ হালদার। এছাড়া সহ সভাপতি, সহ সম্পাদক পদেও শাসক ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা পরাজিত হয়েছেন।
বিরোধী প্যানেল থেকে নবনির্বাচিত সভাপতি হয়েছেন অমিতাভ শিকদার, সম্পাদক হয়েছেন দেবাংশু পণ্ডা, সহ সভাপতি হয়েছেন পূর্ণচন্দ্র নাইয়া, সহ সম্পাদক হয়েছেন রুদ্রনারায়ণ হালদার।
পরাজিত সুদীপ চক্রবর্তী ডায়মন্ড হারবার শহরে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর স্ত্রী রুচিরা চক্রবর্তী পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর। সুদীপ হালদারও ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। উল্টোদিকে জয়ী সম্পাদক দেবাংশু পণ্ডা বিজেপির শহর মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায় না।
তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্যানেলকে পরাজিত করার পর দেবাংশু পণ্ডা বলেন, “বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে সবাই এককাট্টা হয়ে আমরা লড়াই করেছি। আইনজীবীরা দু’হাত তুলে আমাদের প্যানেলকে সমর্থন জানিয়েছেন। আসলে আদালতের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য এই লড়াই ছিল। আমরা আপাতত সেই লড়াইয়ে জয়ী হয়েছি।” আগের তৃণমূল ঘনিষ্ঠ কমিটির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এসিজেএম আদালত অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আগের কমিটি তাড়াহুড়ো করে আদালতটি স্থানান্তরিত করেছে। সেখানে আইনজীবীদের বসার জায়গা পর্যন্ত নেই। বেশিরভাগ আইনজীবী এই নিয়ে ক্ষুব্ধ।” বিরোধী প্যানেলের কাছে হারার পর শাসকদল ঘনিষ্ঠ পরাজিতরা কেউ মুখ খুলতে চাননি।