ডায়মন্ড হারবার: ভোট ঘোষণার পর নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে প্রথম নির্বাচনী সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রবিবারের এই সভামঞ্চ থেকে একযোগে বাম-বিজেপিকে কটাক্ষ করতে শোনা গেল ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের দু’বারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বললেন, সিপিএম-বিজেপি খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিত, তাহলে এর থেকে ভাল প্রার্থী দাঁড় করাতে পারত।
ডায়মন্ড হারবার থেকে ভোটে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। যদিও পরে মত বদল করেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও হুঙ্কার দিয়েছিলেন, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র এবার বিজেপিই জিতবে। প্রয়োজনে অন্য কাউকে ভোটে দাঁড় করিয়ে অভিষেককে হারাবেন। বিজেপির একাধিক জোরদার মুখ নিয়ে চর্চা হলেও পরে অভিজিৎ দাস ওরফে ববির নাম ঘোষণা করে বিজেপি। অন্যদিকে সিপিএম প্রতিকুর রহমানকে এখানে দাঁড় করিয়েছে।
তবে ধারেভারে কোনও প্রার্থীই অভিষেকের সমতূল নয় বলেই বারবার খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। এবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেকও। রবিবার ডায়মন্ড হারবারের সাতগাছিয়ার বজবজ ২ ব্লকের মুচিশা হাই স্কুল ফুটবল মাঠের জনসভায থেকে অভিষেক বলেন, “যাঁরা আমার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁদের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানিয়ে বলছি, আজ তৃণমূলের বিরুদ্ধে খালি ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত না করে সিপিএম-বিজেপি যদি খবরের কাগজের প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন দিত তাহলে যে প্রার্থীদের দাঁড় করিয়েছে তার থেকে ভাল প্রার্থী পেত।”
এরপরই অভিষেককে বলতে শোনা যায়, “আমি কাউকে অসম্মান করছি না, শুধু বলছি, যেভাবে হইহুল্লোড় করল, এ দাঁড়াবে সে দাঁড়াবে, ডায়মন্ড হারবারে ভোট কেটে জিতবে। আমি বলছি, এখনও সময় আছে। বিজেপির কোনও সর্বভারতীয় নেতা যদি আসতে চান, স্বাগত জানাই। আসুক আমার ডায়মন্ড হারবারে। নমিনেশন পর্ব তো শুরুই হয়নি। মানুষের কী ক্ষমতা ডায়মন্ড হারবার দেখাবে।”
একইসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদ বলেন, ভোট ঘোষণা হয়েছে ১৬ মার্চ। বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করে ১৬ এপ্রিল। দেড় মাস একটা প্রার্থী দিতে সময় লেগে গেল? অভিষেকের সংযোজন, “ভোট কীভাবে কাটা যায় অপেক্ষা করছিল। আমি তো বলেছি যে খুশি দাঁড়াক। যারা এলাকা চেনে না, ক’টা ব্লক, ক’টা পুরসভার ক’টা ওয়ার্ড বলতে পারবে না, তারা নাকি অভিষেককে খেদাবে। আমি বলব, ৩ নম্বরে ছিল, ৩ নম্বরেই থাকবে।”