সাগর: একজনের প্রাপ্ত নম্বর শূন্য। অপরজন পেয়েছেন দুই। তাও বহাল তবিয়তে এতদিন চাকরি করছিলেন। পরে গ্রুপ সি-তে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার তালিয়ায় নাম তাঁদেরও। এই দুই চাকরিহারা মহিলাই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর ব্লকের দু’টি পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মেয়ে।
প্রথম মধুমিতা দাস। জানা গিয়েছে, এসএসসি-র তরফে প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা গিয়েছে, তিনি শূন্য পেয়েছেন। অথচ তাঁর নম্বর বাড়িয়ে ৫৪ করা হয়েছে। মধুমিতা চাকরি করতেন সাগরের ধবলাট লক্ষ্মণ পরবেশ উচ্চ বিদ্যালয়ে। মধুমিতার বাবা সুভাষ দাস মুড়িগঙ্গা দু’নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান। স্কুলের সহ শিক্ষক বিজয় বেরা জানান,”আমরা ডিআইএর থেকে মেল পেয়েছি। শেষ স্কুলে এসেছিলেন ৯ তারিখ। চাকরি দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসায় আমরা মর্মাহত।”
মধুমিতার বাবা সুভাষ দাস বলেন, “মেয়ে বলছে ভাল পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু কী করে সাদা খাতা এল জানি না। আমরা আদালতে যাব।”
দ্বিতীয় জন প্রিয়াঙ্কা জানা। এসএসসি-র তরফে প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ২। বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫২। এ দিন প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর বাবা শান্তনুকে বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি। প্রিয়াঙ্কার মা দিপালী জানা জানিয়েছেন, মেয়ের চাকরি চলে গিয়েছে বলে তিনি জানেন না।
এই চাকরি দুর্নীতিতে বিরোধী বিজেপি স্থানীয় বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। সাদা খাতা জমা দেওয়া মধুমিতা দাস সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর আত্মীয় বলে অভিযোগ বিজেপি নেতা অরুনাভ দাসের।
বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন,”এরা কেউ আমার আত্মীয় নয়। তবে আদালতের নির্দেশ মেনে নিতে হবে।”