দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানকে কেন এখনও গ্রেফতার করা গেল না তা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে। প্রশ্নের মুখে শাসকদলও। রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশই শাহজাহান গ্রেফতারিতে অন্তরায়। এদিন ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, “শেখ শাহজাহানকে তৃণমূল গার্ড করছে এমন ভুল রাখবেন না মনে। যদি কেউ গার্ড করে জুডিশিয়ারি গার্ড করছে। জুডিশিয়ারি স্টে তুলে দিক তারপর যদি না করতে পারে একই প্রশ্ন এখানে এসে করবেন।”
ইতিমধ্যেই বিরোধীরা দাবি তুলেছে, তৃণমূলের কারণেই এখনও শাহজাহানকে ধরা যাচ্ছে না। অভিষেক বলেন, “মানব অধিকারের কর্তা ধর্তা রক্ষাকর্তা, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা লাইম লাইটে থাকার জন্য রোজ বলছেন একে গ্রেফতার করুন ওকে গ্রেফতার করুন। আপনারা দরবারটা আর অনুরোধটা হাইকোর্টে করুন। হাইকোর্ট যদি রাজ্য প্রশাসনের হাত বেঁধে দেয় গ্রেফতার করবে কোথা থেকে?”
এরপরই আরও এক ধাপ এগিয়ে অভিষেককে বলতে শোনা যায়, “৫ জানুয়ারি যে ঘটনা ঘটেছিল। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল তারা। তারাই এফআইআর করেছিল। কলকাতা হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ অর্ডার দেয় একটা এসআইটি (SIT) তৈরি হবে, যেখানে রাজ্য পুলিশের একজন কর্তা থাকবে, সিবিআইয়ের একজন প্রতিনিধি থাকবে। তদন্ত করবে টিমটি। খুব সম্ভবত ১০-১২ দিন পর ইডি আপিল করে হাইকোর্টে। স্টে চায়। আবেদন মঞ্জুরও হয়। স্টে মানে তো তদন্ত হবে না, কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। স্টে মানে কাউকে নোটিস পাঠিয়ে ডাকা যাবে না। এটা তো আদালতই বলেছে। ৬ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে। যদি পুলিশ প্রশাসনের হাত পা বেঁধে দেওয়া হয় পুলিশ গ্রেফতার করবে কী করে?” এদিন অভিষেক বলেন, অভিযোগ পেয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মত নেতাদের যখন তৃণমূল রেয়াত করেনি, তখন শেখ শাহজাহান কে?