ক্য়ানিং: শুক্রবার রাতে ক্যানিংয়ে খুন হয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) বুথ সভাপতি নান্টু গাজি। অভিযোগের তির ছিল আইএসএফের (ISF) দিকে। এ ঘটনায় এবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত রশিদ জমাদার, মোসলেম গাজি, ওরমজান গাজিকে রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হচ্ছে। খুনের আসল কারণ জানতে তিনজনকেই নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে পুলিশ। যদিও শেষ পর্যন্ত আদালতের তরফে কী নির্দেশ দেওয়া হয় এখন সেটাই দেখার।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বাজারে গিয়েছিলেন ক্যানিং থানা এলাকার ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলতলা গাজিপাড়ায় ২৪২ নম্বর বুথ তৃণমূলের সভাপতি নান্টু গাজি। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে রাস্তাতেই তাঁকে ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। বেধড়ক মারধর করা হয়। কোপানো হয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন নান্টু।
জোরকদমে ঘটনার তদন্তে নামে ক্যানিং থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে নান্টুর শ্বশুর জুলফিকর গাজিকে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরাও। তিনিও তৃণমূল করতেন। তাঁর মৃত্যুর পরই এলাকায় সংগঠনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। নান্টুর পরিবারের সদস্যদের দাবি, সেউ সময় জুলফিকরকে যাঁরা খুন করেছিল তাঁদের অনেকেই এখন আইএসএফের সমর্থক। নান্টুর তৃণমূল করা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে ঝামেলাও হয়েছিল। ভোটের আবহেই তাঁদের হাতেই এখন খুন হতে হয়েছে নান্টুকে। যদিও এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ নাকি অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।