ভাঙড়: একেবারে যেন অবাক কাণ্ড! পঞ্চায়েত সমিতিতে নিজের ঘর ফিরে না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসলেন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম। ওই জায়গায় বসেই তিনি সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেবেন বলে জানান। আরাবুলের দাবি, তিনি একটানা ১২ বছর যে ঘরে বসে পঞ্চায়েত সমিতি চালিয়েছেন সেই ঘরটা দখল করে নিয়েছে দলের এক কর্মাধ্যক্ষ। তাতেই ক্ষুব্ধ তিনি। ঘর ফিরে পেতে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। অবশেষে প্রতিবাদে খোলা আকাশের নিচে বসেই পরিষেবা দেওয়ার ভাবনা।
আরাবুলের ঘর দখল করার অভিযোগ উঠেছে বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ খইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করছেন। খুঁজে পাচ্ছেন না নিজের কোনও ‘দোষ’। পাল্টা আরাবুল বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে সাফ বলেন, “ঘর তো কারও পৈতৃক নয়। আমি রেজুলিউশন করে এই ঘর পেয়েছি। উনি তো এতদিন তোলাবাজ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। এখন জানলাম উনি অনেক বড় নাটকবাজ।”
পাল্টা আরাবুল বলেন, “সকলেই জানে কেন ঘর পাচ্ছি না। আমি বিডিও-র ঘরে দু’দিন বসেছি। কিন্তু, বিডিও সাহেবের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে, আমারও অসুবিধা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ আসছে তো অনেক। সে কারণেই আমি বাইরে বসছি এখন। আমি আগে যখন পঞ্চায়েত সমিতিতে ছিলাম তখন সবার নামে নামে ঘর দিয়েছি। কিন্তু উনি তো এখন দলের শাহেনশাহ। তাই আমি আইনি পদক্ষেপ করেছি। এখন দেখা যাক।”