দক্ষিণ ২৪ পরগানা: একই দিনে পরপর দু’টি দুর্ঘটনার খবর জেলায়। দুটি ঘটনার কেন্দ্রস্থলই বারুইপুর। একদিকে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে অন্যদিকে এক মহিলা বাইক আরোহীর গুরুতর জখম হওয়ার খবর মিলেছে।
প্রথম দুর্ঘটনায় লরি ও বাইকের ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় বাইক আরোহী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৩৫)। পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের বাড়ি বেহালা থানার (Behala) অন্তর্গত সরশুনায়। সুব্রত শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে এক জনৈক কাঠের মিস্ত্রীর সঙ্গে বারুইপুর দিয়ে আসছিল।
রাস্তায় লরির সঙ্গে মোটর বাইক ধাক্কা লাগায় সুব্রত গুরুতর চোট পেয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে রাতে বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে আসে এলাকার বাসিন্দারা। বারুইপুর হাসপাতালের (Baruipur Hospital) চিকিৎসকরা সুব্রতর চিকিৎসা শুরু করতেই মারা যায়। তবে সুব্রতর সঙ্গে থাকা ওই কাঠের মিস্ত্রী দুর্ঘটনার পরই পালিয়ে যায়। বারুইপুর থানায় খবর পেয়ে মৃত দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়lসেই সঙ্গে বারুইপুর থানার পুলিশ এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে ।
দ্বিতীয় ঘটনাস্থানও বারুইপুরে। সেই ঘটনার ক্ষেত্রেও একটি লরি বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন এক মহিলা। গতকাল রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর হলিক্রস স্কুলের সামনে। ওই মহিলার নাম সুজাতা আচার্য (২৮)।
সূত্রের খবর সুজাতার বাড়ি সোনারপুর থানা এলাকায়। সুজাতা ও এক ব্যক্তির সঙ্গে বাইকে করে বারুইপুরের দিকে আসছিলেন শুক্রবার রাতে। গডডিয়ার দিক থেকে আসছিল একটি লরি। বাইকটি যেহেতু দ্রুত গতিতে চলছিলে। সেই কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এরপরই বাইকটি বেসামাল হয়ে লরিতে ধাক্কা মারে।
বাইকের চালকের পিছনে বসে থাকা সুজাতা সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় পড়ে যান। ঘটনাস্থানে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন। ওই একই সময়ে বাইপাস দিয়ে বারুইপুর থানার টহলদারি একটি গাড়ি যাচ্ছিলো। তারাই একটি অ্যাম্বুলেন্স করে বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে পাঠায় ওই মহিলাকে। বারুইপুর হাসপাতালের চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় রাতেই কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত বাইক চালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে ঘাতক লরিটির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য,পথদুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যুর হার কমাতে কেন্দ্রের তরফে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘গুড সামারিটান স্কিম’ নামে এই প্রকল্পের আওতায় পথদুর্ঘটনায় আহতদের যথা সময়ের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে দিলে দেওয়া হবে উপযুক্ত পারিতোষিক, আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। এবার মধ্য প্রদেশ (Madhya Pradesh Government) সরকার সেই প্রকল্প চালু করল। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক মনে করছে, এবার সেই সমস্ত ‘গুড সামারিটান’দের আরও উৎসাহিত করা প্রয়োজন। তাঁরা যাতে আরও বেশি করে বিপদে সহযাত্রীর পাশে দাঁড়ান। সে কারণেই একেবারে নগদ পুরস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগানা: একই দিনে পরপর দু’টি দুর্ঘটনার খবর জেলায়। দুটি ঘটনার কেন্দ্রস্থলই বারুইপুর। একদিকে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে অন্যদিকে এক মহিলা বাইক আরোহীর গুরুতর জখম হওয়ার খবর মিলেছে।
প্রথম দুর্ঘটনায় লরি ও বাইকের ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় বাইক আরোহী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৩৫)। পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের বাড়ি বেহালা থানার (Behala) অন্তর্গত সরশুনায়। সুব্রত শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে এক জনৈক কাঠের মিস্ত্রীর সঙ্গে বারুইপুর দিয়ে আসছিল।
রাস্তায় লরির সঙ্গে মোটর বাইক ধাক্কা লাগায় সুব্রত গুরুতর চোট পেয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে রাতে বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে আসে এলাকার বাসিন্দারা। বারুইপুর হাসপাতালের (Baruipur Hospital) চিকিৎসকরা সুব্রতর চিকিৎসা শুরু করতেই মারা যায়। তবে সুব্রতর সঙ্গে থাকা ওই কাঠের মিস্ত্রী দুর্ঘটনার পরই পালিয়ে যায়। বারুইপুর থানায় খবর পেয়ে মৃত দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়lসেই সঙ্গে বারুইপুর থানার পুলিশ এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে ।
দ্বিতীয় ঘটনাস্থানও বারুইপুরে। সেই ঘটনার ক্ষেত্রেও একটি লরি বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন এক মহিলা। গতকাল রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর হলিক্রস স্কুলের সামনে। ওই মহিলার নাম সুজাতা আচার্য (২৮)।
সূত্রের খবর সুজাতার বাড়ি সোনারপুর থানা এলাকায়। সুজাতা ও এক ব্যক্তির সঙ্গে বাইকে করে বারুইপুরের দিকে আসছিলেন শুক্রবার রাতে। গডডিয়ার দিক থেকে আসছিল একটি লরি। বাইকটি যেহেতু দ্রুত গতিতে চলছিলে। সেই কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এরপরই বাইকটি বেসামাল হয়ে লরিতে ধাক্কা মারে।
বাইকের চালকের পিছনে বসে থাকা সুজাতা সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় পড়ে যান। ঘটনাস্থানে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন। ওই একই সময়ে বাইপাস দিয়ে বারুইপুর থানার টহলদারি একটি গাড়ি যাচ্ছিলো। তারাই একটি অ্যাম্বুলেন্স করে বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে পাঠায় ওই মহিলাকে। বারুইপুর হাসপাতালের চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় রাতেই কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত বাইক চালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে ঘাতক লরিটির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য,পথদুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যুর হার কমাতে কেন্দ্রের তরফে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘গুড সামারিটান স্কিম’ নামে এই প্রকল্পের আওতায় পথদুর্ঘটনায় আহতদের যথা সময়ের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে দিলে দেওয়া হবে উপযুক্ত পারিতোষিক, আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। এবার মধ্য প্রদেশ (Madhya Pradesh Government) সরকার সেই প্রকল্প চালু করল। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক মনে করছে, এবার সেই সমস্ত ‘গুড সামারিটান’দের আরও উৎসাহিত করা প্রয়োজন। তাঁরা যাতে আরও বেশি করে বিপদে সহযাত্রীর পাশে দাঁড়ান। সে কারণেই একেবারে নগদ পুরস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।