দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাগুইআটির জোড়া খুন মামলায় এবার নাম জড়াল ভাঙড়ের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যে তিনজন ধরা পড়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজনের বাড়ি ভাঙড়ের কাশীপুর থানার শোনপুর এলাকায়। সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃত তিনজন মহম্মদ শামিম আলি, সাহিল মোল্লা, দিব্যেন্দু দাস। শামিম আলির বাড়ি ভাঙড়ের শোনপুরে এলাকায়। এই ঘটনায় আরও একজনের নাম উঠে আসে। কাশীপুর থানার পোলেরহাট এলাকার বাসিন্দা রবিউল মোল্লা। রবিউল বাগুইআটি এলাকায় একটি অনলাইন নির্ভর ক্যাব চালান। তাঁর খোঁজেই এদিন সিআইডির প্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাঙড়ের কাশীপুর থানায় পৌঁছন। রবিউলকে ডেকেও পাঠানো হয়। যদিও প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর বেরিয়ে তিনি জানান, তিনি কোনও অপরাধে জড়িত নন।
গত ২৩ অগস্ট অতনু দে ও অভিষেক নস্করের দেহ উদ্ধার হয়। হাড়োয়া থানা অজ্ঞাত পরিচয় দু’টি দেহ উদ্ধারের তথ্য পাঠায় সব থানায়। সেইমতো খবর আসে বাগুইআটি থানাতেও। এদিকে ২৪ অগস্ট দু’জনেরই পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। এরপর গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর দেহ দু’টির খোঁজ পায় পরিবার। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে পাহাড়সমান গাফিলতির অভিযোগ ওঠে।
এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর কাশীপুর থানা থেকে বেরিয়ে এলে রবিউল মোল্লা জানান, “কাশীপুর থানায় আমাকে দুপুর ২টো নাগাদ ডাকল। বাগুইআটিতে একটা খুনের ঘটনায় আমাকে সন্দেহ করেছিল, তাই ডাকা হয়। আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে বেরিয়েছি। বাড়ি ফিরছি। আমার ওলা গাড়িটা ওদিন রাতে বুকিং হয়। যদিও সেই বুকিং ক্যানসেলও করা হয়। আমি এই ঘটনায় যুক্ত এমন কোনও প্রমাণ পুলিশ পায়নি। তাই কাশীপুর থানা থেকে আমি আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।”
অন্যদিকে বাগুইআটির দুই ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল বাসন্তী হাইওয়ের হাড়োয়া থানা এলাকায় ও ন্যাজাট থানা এলাকায়। গত ২২ অগস্ট অপহরণকারীরা লাল রঙের একটি গাড়ি করে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে দুই ছাত্রকে নিয়ে গিয়েছিল বলে সিআইডি সূত্রের খবর। বাসন্তী হাইওয়ের উপর ঘটকপুকুর, নলমুড়ি, বড়ালী ঘাট এলাকায় বেশ কিছু সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। বাসন্তী হাইওয়ের উপর লাগানো ওই সিসিটিভি মনিটারিং করা হয় ভাঙড় থানা থেকে। বুধবার রাতেই সেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে ভাঙড় থানায় যান সিআইডি আধিকারিকরা। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি সিআইডি আধিকারিকরা। তবে তাঁরা জানিয়েছেন বেশ কিছু তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে।