Gosaba: ভরসন্ধ্যায় পুকুরের জলে শরীর ডুবিয়ে চলছে ‘খেলা’, দৃশ্য দেখে চোখ কপালে উঠল এলাকার লোকজনের
Crocodile: এদিন সন্ধ্যায়পুকুর সংলগ্ন এলাকায় কাজ করছিলেন বিমল মণ্ডল। হঠাৎই জলে কেমন একটা শব্দ পান।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভরসন্ধ্যায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড গ্রামে। খবর ছড়ায় লোকালয়ে কুমির ঢুকে পড়েছে। তাও বিশালাকার। সোমবার এই ঘটনা ঘিরে হইচই পড়ে যায় সুন্দরবন সংলগ্ন গোসাবায়। এলাকার একটি বাড়ির পাশে পুকুরের জলে কেমন যেন শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। প্রথমে ভেবেছিলেন বড় কোনও মাছ হলেও হতে পারে। এরপরই পুকুরধারে গিয়ে যে দৃশ্য স্থানীয়দের নজরে আসে, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। বিশাল এক কুমির পুকুরের জলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। ঝাপটানির শব্দ, যেন মহা আনন্দে খেলে বেড়াচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে উদ্ধার করে নিয়ে যান কুমিরটিকে। গোসাবা ব্লকের বালি-২ গ্রামপঞ্চায়েতের বিরাজনগর গ্রাম। বিদ্যাধরী নদীর ধারে এই গ্রামের অবস্থান। সেই গ্রামেই বসবাস করেন বিমল মণ্ডল। এদিন সন্ধ্যায় তাঁর পুকুরেই কুমিরটিকে দেখা যায়। প্রায় ৭ ফুট লম্বা সেই কুমির বিদ্যাধরী থেকেই লোকালয়ে ঢোকে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
এদিন সন্ধ্যায়পুকুর সংলগ্ন এলাকায় কাজ করছিলেন বিমল মণ্ডল। হঠাৎই জলে কেমন একটা শব্দ পান। ঘুরতেই নজরে আসে বিশালাকার এই কুমিরটি। হাতে কাজ ছুড়ে ফেলে ছুট লাগান তিনি। প্রাণপণে চিৎকার শুরু করেন। চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। এরপরই পুকুরধারে গিয়ে সেই ভয়াবহ দৃশ্য নজরে আসে। এরপরই বনদফতরে খবর দেন স্থানীয়রা।
তড়িঘড়ি বিরাজনগর গ্রামে এসে পৌঁছন বন দফতরের লোকজন। তাঁরা কুমিরটিকে কব্জায় এনে উদ্ধার করেন। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন গ্রামের লোকেরা। বর্তমানে কুমিরটি বনদফতরের হাতেই রয়েছে। যেহেতু অনেক রাতের ঘটনা। মঙ্গলবার তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে বলে সূত্রের খবর। সুস্থ থাকতে তাকে সুন্দরবনের কোনও নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
কিছুদিন আগেই একইভাবে লোকালয়ে কুমিরের আতঙ্ক তৈরি হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ শিবগঞ্জ এলাকায় একটি খালে কুমিরটি ঢুকে পড়েছিল। তাকেও উদ্ধার করে নিয়ে যায় বনদফতরের কর্মীরা। সে সময় অবশ্য দু’দিন ধরে কুমিরটি গ্রামেই ছিল বলে জানা যায়। পরে ছাগলের টোপ নিয়ে তাকে ধরা হয়।