বাসন্তী: গ্রাম বাংলা দখলের লড়াইয়ে শনিবার দু’টি মৃত্যুর খবর সামনে আসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে। এর মধ্যে কুলতলিতে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীর। অপরদিকে, ফুলমালঞ্চতে প্রাণ হারান সাধারণ এক ভোটার। এরমধ্য আবার বাসন্তী থেকেও উঠে আসে মারধরের খবর। সেখানে আরএসপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন এক তৃণমূল কর্মী। বর্তমানে তিনি এসএসকেএম-এ চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই তৃণমূল কর্মীর অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক যে তিনি কোমায় চলে গিয়ছেন।
সূত্রের খবর, আহত তৃণমূল কর্মীর নাম আজাহার লস্কর (৫২)। গতকাল ভোটগ্রহণ পর্বের শেষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাসন্তীর রাধারানিপুর। ব্যালট বাক্স নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন আরএসপি ও তৃণমূলের কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় আজাহারকে লাঠি, বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করেন আরএসপির লোকজন। তাঁর মাথায়-চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। শুধু তাই নয়, চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসাপাতালে। পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হওয়ার দরুন তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম-এ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কোমায় রয়েছেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে সেচ মন্ত্রী তথা আরএসপি নেতা সুভাষ নস্কর বলেন, “সারা এলাকাজুড়ে আরএসপির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তবে কালকে রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় মারামারি হয়েছে। একজন প্রবীণ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। যাকে ব্য়ক্তিগত ভাবে আমি চিনি। যা হয়েছে তা দুঃখজনক।”
প্রসঙ্গত, কুলতলীতেও গতকাল প্রাণ হারান এক তৃণমূল কর্মী। মৃত ব্যক্তির নাম আবু সালেম খাঁ। ওই ব্যক্তি এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলেই পরিচিত। তৃণমূলের সন্দেহ, খুন করা হয়ে থাকতে পারে তাঁদের দলীয় কর্মী। অভিযোগের তির সিপিএম ও বিজেপির দিকে।