ভাঙড়: অশান্তি থামার লক্ষ্মণ নেই। ভাঙড়ে আরও একজনের মৃত্যু। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর। নাম শেখ মোসলেম। গত সাত তারিখ বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা রড ও বন্দুকের বাঁট দিয়ে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোসলেমের স্ত্রী। তারপর একাধিক সরকারি হাসপাতাল হয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল মোসলেমের। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে ভাঙড়ে যে অশান্তি পরিবেশ তৈরি হয়েছিল তা এখনও অব্যাহত। গণনার রাতেই ভাঙড়ে অশান্তিতে পুলিশের ‘গুলিতে’ মৃত্যু হয়েছে তিন যুবকের। শেখ মোসলেম আক্রান্ত হয়েছিলেন গণনার ঠিক আগেই। পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সাত তারিখ দলীয় কাজ সেরেই বাড়ি ফিরছিলেন মোসলেম। অভিযোগ, তখনই তাঁর ওপর লোহার রড, লাঠি নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘোরেন তিনি। কিন্তু সেভাবে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তাঁর কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছিল। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। ভোট গণনার রাতে মারাত্মকভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। ভাঙড়ের ভোগালির কাঁঠালিয়া অঞ্চলে পুলিশের ‘গুলি’তে তিন জনের মৃত্যুতে তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনায় আহত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তাঁর দেহরক্ষীও। এর আগে যাঁরা মার খেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্য়েও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হচ্ছে। মোসলেমের মৃত্যুর তারই দৃষ্টান্ত।