বাসন্তী: ভোট পরবর্তী হিংসায় তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, ক্যানিং। বাসন্তীতে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় তৃণমূলের ওই বুথ সভাপতিকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার ইটখোলা পঞ্চায়েতের তেঁতুলতলা সংলগ্ন গাজি পাড়া এলাকায়।
অন্যদিকে, বাসন্তীতেই তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ ওঠে। তির আরএসপির দিকে। গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূল কর্মী শামিম সর্দার। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে শামিমকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে।
অন্যদিকে, ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪২ নম্বর গাজি পাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি নান্টু গাজির ওপরেও হামলা চলে। শুক্রবার বিকালে তিনি সাতমুখী বাজারে গিয়েছিলেন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাত নটার সময় বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ সেই সময় তেঁতুলতলা এলাকায় আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরেন। ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন সাহিনা গাজি ও আছিরন নামে দুই মহিলাও। তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়েও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ।
নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় বুথ সভাপতির খোঁজ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। রাত দুটো নাগাদ তেঁতুলতলা গাজীপাড়া এলাকায় রাস্তার ওপর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তৃণমূলের ওই বুথ সভাপতির হাতে,পেটে, গলা-সহ দেহের বিভিন্ন জায়গায়া ক্ষত হয়েছে। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতা চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। অপরদিকে সাহিনা গাজি ও আছিরন নামের দুই মহিলা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য শাহজাহান গাজির দাবি, এলাকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে শেষ করার জন্য চক্রান্ত করে বুথ সভাপতিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপান হয়েছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।