ভাঙড়: ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলামের গ্রামেই গো হারা হেরে গিয়েছে তৃণমূল। এলাকায় নিজের মুখ থুবড়ে পড়ার দায় নিজের ঘাড়েই নিলেন ভাঙড়ে দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। বললেন, “আমি বাদে অন্য কেউ দায়িত্ব নিলে আমি খুশি হব। আমি সবার জন্য কাজ করতে পারিনি।”
ভোটপর্বের পর বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বিশেষ আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন আরাবুল। হঠাৎ আরাবুলের ইসলামের মুখে এমন বক্তব্য কেন? তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে উঠছে নানা প্রশ্ন।
একাংশের মতে পোলেরহাট ২ অঞ্চল, যা আরাবুল ইসলামের খাস তালুক সেখানে একজন বাদ দিয়ে বাকি ২৩ টি বুথে হেরেছে তৃণমূল। তারপর ভাঙড়ে একের পর এক রাজনৈতিক সংঘর্ষে তৃণমূল ব্যাকফুটে গিয়েছে। এসব কারণেই কি আরাবুলের এই আত্ম সমালোচনা?
যদিও ওই অনুষ্ঠানেই ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা আরাবুল ইসলামের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “ভাঙড়ের দায়িত্বে থাকবে আরাবুলই।”
ভাঙড়ের প্রভাবশালী নেতা আরাবুল ইসলাম। তৃণমূল শাসকদলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার আগেই দলের সংগঠনের রাশ ছিল আরাবুলের হাতে। ভাঙড়ে আরাবুল দলের দায়িত্ব পুরো বিষয়টি নিজের হাতেই রেখেছিলেন। গত কয়েক বছরে ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোট একা হাতে সামলেছেন আরাবুল। এবারে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকেও। আর তাঁকে সাহায্য করার দায়িত্ব ছিল সব্যসাচী দত্তের ওপর।
মনোনয়ন পর্ব থেকে ভাঙড়ের পোলেরহাট ২ অঞ্চল তপ্ত হয়ে উঠেছিল। লাগাতার বোমাবাজি, গুলি চালনার যে অধ্যায় শুরু হয়েছিল, তা গণনাপর্ব মিটতেও তা অব্যহত। এমনকি গণনার রাতেও অশান্তিতে প্রাণ গিয়েছে তিন জনের। সেই ভাঙড়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে হঠাৎ আরাবুলের এই আত্ম অনুশোচনা রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি করেছে।