দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ। ভোটের সময় ছাপ্পা রুখতে সক্রিয় হয়েছিলেন বলেই আক্রান্ত হতে হল বলে দাবি তাঁর দলের। এই ঘটনায় শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল আক্রান্তের পরিবার, দলের নেতৃত্বের। তবে এ নিয়ে তৃণমূলের কারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগ, ভোটের দিন অর্থাৎ শনিবার রাতে ডায়মন্ড হারবার-১ ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি কুণাল হালদারকে একদল দুষ্কৃতী মারধর করে। মাথায় আঘাত লাগে তাঁর। এই ঘটনায় আতঙ্কে তাঁর পরিবার। বাড়িতে বৃদ্ধা মা থাকেন। এমনিতেই ছেলেরা বাইরে থাকলে সবসময় ভয় কাজ করে। ইদানিং সে ভয় আরও জোরাল হয়েছে বলে জানালেন সন্ধ্যা হালদার।
ডায়মন্ড হারবার-১ ব্লকের হরিণডাঙা অঞ্চলের পার্বতীপুর। সেখানকার ২১৩ নম্বর বুথে শনিবার ভোটের দিন গোলমালের অভিযোগ উঠেছিল। রাতেও সেই ঝামেলার রেশ গড়ায় বলে বিজেপির দাবি। বিজেপির চার নম্বর মণ্ডলের সভাপতি কুণাল হালদার এবার ভোটে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীও হয়েছেন।
কুণালের মা সন্ধ্যাদেবীর কথায়, “আমি সবসময়ই ভয়ে ভয়ে থাকি। রাতে ছেলেরা ফিরলে তারপর একটু শান্তি পাই। আমার বাড়িতে এসে দুষ্কৃতীরা যা তা বলে যায়। বলে বাড়িতে বোমা ফেলবে, ভাঙচুর করবে। ভোটের দিন ছেলেটাকে শুধু শুধু মেরেছে। পুলিশের কাছে যে যাব, কী করবে ওরা? ফোন করলে এসে বাড়িতে ঘুরে যায়। কিছু কি করে?”
বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সবিতা চৌধুরী বলেন, “ভোট চলাকালীন মণ্ডল প্রেসিডেন্ট কুণাল সবসময় ছিলেন। ছাপ্পা চলছিল হরিণডাঙায়। আটকাতে গেলে কুণালকে মারধরও করে। ২১২, ২১৩, ২১৪ নম্বর বুথ একেবারে ক্যাপচার করে ছাপ্পা চলেছে। গুলি বোমার রাজনীতি করেছে ভোটে।”