দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নির্বাচন মিটলেও থামেনি হিংসা। মঙ্গলবার থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির রামনগর-গাজিপুর পঞ্চায়েতের বুলারচক এলাকা। দফায় দফায় চলে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ। একে অপরের বিরুদ্ধে লক্ষ্য করে হয় মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি। ইট-পাটকেল ছোড়া হয়, চলে বেপরোয়া লাঠিপেটা। বুলারচক এলাকায় চলে বাড়ি ভাঙচুর, লুঠপাট ও মারধর। এই সংঘর্ষে আইএসএফ ও তৃণমূল মিলিয়ে আহতের সংখ্যা দশেরও বেশি। আক্রান্ত হয়েছেন খোদ বিজয়ী আইএসএফ প্রার্থীর স্বামী মইমুর লস্কর-সহ ৭ কর্মী-সমর্থক। এই ঘটনায় পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী মাসুদা লস্কর ও তাঁর স্বামী আবদুল আহাদ লস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে আইএসএফ।
অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী ও তাঁর স্বামী আইএসএফের বিরুদ্ধে পাল্টা বোমাবাজি ও মারধরের অভিযোগ তুলেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে।
আক্রান্ত আইএসএফ প্রার্থীর স্বামী ময়মূর লস্করের বক্তব্য, “ওরা ষড়যন্ত্র করেছিল। ঠিক করেই রেখেছিল, মিছিল এলেই বোমা মারব। মিছিল এলাকায় ঢুকতেই তিনটি বোমা মারল। লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে।”
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা আব্দুল লস্করের বক্তব্য, “মিছিল করে এসে আমাদেরই প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। ওরাই বোমাবাজি করেছে। আমাদের প্রার্থী ভয়ে ঘরছাড়া ছিল। আজ পুলিশ গিয়ে এলাকায় ঢুকিয়ে দিয়ে এসেছে।” আইএসএফ তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙড়ও। রাতভর এলাকায় চলেছে বোমাবাজি, অস্ত্র হাতে দাপাদাপি। গণনার রাতেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের।