ভাঙড়: তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের (Bhangar) চালতাবেড়িয়া এলাকায় সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম কুতুবউদ্দিন আলি মোল্লা। অভিযোগ, এদিন ভাঙড়-২ বিডিও অফিসে আরাবুল ইসলামের ডাকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় হাজির ছিলেন কুতুবউদ্দিন। এরপর ঘরে ফিরতেই তাঁর বাড়িতে হামলা চলে বলে অভিযোগ। ইট বৃষ্টি ও বোমা ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ কুতুবউদ্দিনের। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধার করে বোমার সুতলি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। উল্টে তাঁর দাবি, তৃণমূলের লোকজন নিজেরাই বোমাবাজি করে আইএসএফের উপর দোষ চাপাচ্ছেন।
আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সোমবার মনোনয়নপর্বের তৃতীয় দিনে উত্তপ্ত হয় ভাঙড়-২। এক কংগ্রেস প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আইএসএফের জেলা নেত্রী আসমা খাতুনও সোমবার অভিযোগ তোলেন, তাঁদের কর্মীদের ভয় দেখাতে গুলি চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি আইএসএফের মালেক মোল্লা ভাঙড়-১ ব্লকে মনোনয়ন জমা দিতে আসার পথে প্রহৃত হন বলে অভিযোগ ওঠে। এরইমধ্যে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগ।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা অহিদুল ইসলাম বলেন, “নওশাদ সিদ্দিকীর ইন্ধনে সোমবার সন্ধ্যা থেকে চালতাবেড়িয়ায় হামলা চলছে। মঙ্গলবার যেহেতু ওরা মনোনয়ন জমা দিতে যাবে, তার আগে এলাকা উত্তপ্ত করছে। যাতে তৃণমূল রাস্তায় না বেরোয় তার জন্য বোমাবাজিও করছে।” পাল্টা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন,”চালতাবেড়িয়ার বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূল গোলমাল করছে। বোমাবাজি করছে। আমরা থানাতেও জানিয়েছি। পিঠ বাঁচাতে আমাদের কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।”