দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে (Bhangar) বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযোগ মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে শাসকদল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লা বলেন, “ফর্ম নিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন, আমি এবং আরাবুলদা দায়িত্ব নিয়ে দু’জন দুই ব্লকে জমা দিয়ে দেবো।” উল্লেখ্য ভাঙড় ১ ও ভাঙড় ২ ব্লকে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে কখনও আইএসএফ, কখনও কংগ্রেস, আবার কখনও বা ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি অভিযোগ করেছে। তাদের বক্তব্য, তৃণমূলের নেতারা মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে। বল প্রয়োগের চেষ্টা করছে তারা। এমনকী মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও সেসব অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন সওকত মোল্লা।
ভোট এলেই অশান্তির আঁতুরঘর হয়ে ওঠে ভাঙড়। মনোনয়ন ঘিরে সোমবারই তুলকালাম হয় ভাঙড়ে। মঙ্গলবারও নজরে ভাঙড়। কারণ, এদিন ১০ হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে মিছিল করে ভাঙড়ে মনোনয়ন জমা দেবে আইএসএফ। মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন নওশাদ সিদ্দিকী। অন্যদিকে এদিন ভাঙড়ে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি। ভাঙড় বিধানসভার ভাঙড়-১ ব্লকের ঘটকপুর বাজারে কর্মসূচিতে যোগদানের পাশাপাশি ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বোদরায় রোড শো করবেন অভিষেক।
অর্থাৎ মঙ্গলবার ‘হটস্পট’ ভাঙড়। অশান্তির আশঙ্কায় এদিন সকাল থেকেই ভাঙড়-২ বিডিও অফিসের সামনে পুলিশি নিরাপত্তার কড়াকড়ি। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি জলপাই রঙের পোশাকের নিরাপত্তা আধিকারিকেও ছয়লাপ বিডিও অফিস চত্বর। সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে তারপরই বিডিও অফিসের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এদিন নওশাদের নেতৃত্বে মিছিল করে আইএসএফের লোকজন আসবেন বিডিও অফিসে। সোমবার এখানেই আইএসএফ কর্মীরা গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। নতুন করে যাতে কোনও ঝামেলার পরিস্থিতি না তৈরি হয়, চলছে কড়া নজরদারি।