ভাঙড়: ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই ভয়াবহ ভাঙড়। গুলি, বোমা, বারুদে কাঁপছে ভাঙড়-২ ব্লক। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাঁদের এক কর্মী এই হিংসার বলি হয়েছেন। অন্যদিকে আইএসএফের দাবি, তাঁদেরও এক কর্মী মারা গিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার সকাল থেকে থমথমে এলাকা। এদিন সাতটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে এলাকার একটি পোড়ো বাড়ি থেকে। তাতে তাজা বোমা ভর্তি
বৃহস্পতিবার ভাঙড়-২ ব্লকের বিডিও অফিস সংলগ্ন মেলার মাঠজুড়ে যে তাণ্ডব চলেছে, যে নৈরাজ্যের ছবি দেখা গিয়েছে, শুক্রবারও রয়ে গিয়েছে তার চিহ্ন। দু’টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবার। শুক্রবার সকালে দেখা গেল পোড়া গাড়ি দু’টি পড়ে আছে। গাড়িগুলি ট্রেকার হিসাবে চলে। জীবনতলা থেকে ক্যানিং তার রুট। সেখান থেকে আজও নির্গত হচ্ছে সন্ত্রাসের ধোঁয়া, হিংসার ধোঁয়া। মাঠে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে সুতলি বোমা, গুলির খোল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গুলির খোলের বাক্স।
ভাঙড়ের সাধারণ মানুষ আজও সন্ত্রস্ত, ভীত। ভয় পাচ্ছেন, মনোনয়নপর্বেই যদি এমন হিংসা চলে, তাহলে ভোটের দিন কী হবে। আজও মেলার মাঠ, পানাপুকুর মোড়, নিমকুড়িয়া, বিজয়গঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় সর্বত্রই আতঙ্কিত মানুষ। তাঁরা বলছেন, এখনও ভাঙড় বোমা-বারুদের স্তূপ।
শুক্রবারও ভাঙড়ের পুরনো রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে সাত সাতটা ব্যাগ তাজা বোমায় ভর্তি। প্রকাশ্যে পড়ে রয়েছে তা। কাঠের গুড়ো, তার মধ্যে অগুনতি তাজা বোমা ভর্তি। মেলার মাঠের ঠিক পিছনে এই পুরনো রেজিস্ট্রি অফিস। মেলার মাঠ থেকে যে পাঁচটি রাস্তা ধরে ভাঙড়-২ বিডিও অফিস যাওয়া যায়, যে রাস্তাগুলি গতকাল দুষ্কৃতীদের বধ্যভূমি হয়ে উঠেছিল, এদিন সেখান থেকেই মিলল তাজা বোমা। মনে করা হচ্ছে, এলাকার এই পুরনো ভবনগুলিই ছিল দুষ্কৃতীদের বিস্ফোরক মজুতের গুদামঘর।