ভাঙড়: মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে আইএসএফ কর্মীদের ঘিরে ধরে বোমা গুলির অভিযোগ উঠল। স্থানীয় পানাপুকুর মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন একজন। রাস্তায় তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ পড়েছিল রক্তাক্ত অবস্থায়। শুক্রবারও রাস্তার ধারের বাঁশে রক্ত লেগে রয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল বৃহস্পতিবার, সবটা দেখেছেন আইএসএফ প্রার্থী বিজরুল আলি মোল্লা। তাঁর পেটেও গুলি লাগে। টিভি নাইন বাংলার কাছে নিজের অভিজ্ঞতা ধরলেন বিজরুল।
বিজরুল বলেন, “আমি এখানেই ছিলাম। তুমুল গুলি চলতে শুরু করে। আমাদের চোখের সামনে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। এখানেই মারা যান তিনি। আমার গায়েও গুলি লাগে। পেটের কাছে গুলি লাগে। জিরনগাছায় গিয়ে গুলি বার করা হয়। কপালের জোরে বেঁচে গিয়েছি।”
পানাপুকুর থেকেই বিজরুল মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়বেন ভাবতেই পারেননি তাঁদের কেউ। বলেন, “আমাদের লোকজনকে এগোতেই দেওয়া হচ্ছিল না। সমানে বোমা পড়ছে। চারপাশ ধোঁয়ায় ঢাকা। রাস্তার দু’ধারে এত গাছ। সেই গাছের আড়াল থেকে গুলি চালাচ্ছিল।” বিজরুলের দাবি, কেউ কেউ এলাকার বাড়ির ছাদেও ছিল। সেখান থেকেও গুলি উড়ে এসেছে।
এদিন ভাঙড়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে ঠিক কী ঘটেছিল, বোমা ছোড়া হয়েছিল কি না, তা জানতে চান প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে। একে একে বিজয়গঞ্জ বাজার, মেলার মাঠ পরিদর্শন করেন তিনি। পরে রাজ্যপাল বলেন, “একসঙ্গে মিলে হিংসা রুখতে হবে। কী হয়েছিল জানতে কথা বলেছি। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে যৌথ প্রয়াস দরকার।”