দক্ষিণ ২৪ পরগনার: রাজ্যের প্রশংসায় রাজ্যপাল (Governor CV Ananda Bose)। রবিবার গঙ্গাসাগর মেলা দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গঙ্গাসাগর মেলার ব্যবস্থাপনা দেখে রাজ্য সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ কপিলমুনির আশ্রমে সপরিবারে পুজো দেন রাজ্যপাল বোস। তার আগে মেলার মেগা কন্ট্রোলরুম ঘুরে দেখেন তিনি। প্রায় ২৫ মিনিট মেগা কন্ট্রোলরুমে ছিলেন রাজ্যপাল। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। কন্ট্রোলরুম থেকে পুরো মেলার ব্যবস্থাপনা রাজ্যপালের সামনে তুলে ধরা হয়। রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ হেলিকপ্টারে গঙ্গাসাগরে পৌঁছন রাজ্যপাল।
প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলা ও সাগরস্নান ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় গঙ্গাসাগরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধন করেন। দেশ বিদেশ থেকে মানুষ আসেন এই মেলা দেখতে। পুণ্যার্থী সমাগমে সাগর হয়ে ওঠে মিলনক্ষেত্র। এবার সাগরমেলার ব্যবস্থাপনা দেখে মুগ্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ব্যবস্থাপনা দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দেওয়ার পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “এই গঙ্গাসাগর মেলা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় মিলনের জায়গা। শান্তি, সৌভ্রাতৃত্ব, মানবতার বার্তা দেয় এই মেলা। মেলায় আপদকালীন ব্যবস্থা দেখে আমি অত্যন্ত খুশি। আমি এই মেলার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।” গঙ্গাসাগর মেলাকে বিশ্বের অন্যতম ধর্মীয় পীঠস্থান বলে বর্ণনা করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে গঙ্গার পবিত্রতা চিরকালীন।” এদিন কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দেওয়ার পর সাগরতটে যান তিনি। মেলার মাঠের চার নম্বর তট ঘুরে দেখেন। পরে এবারের মেলার মূল আকর্ষণ বাংলার পাঁচ মন্দির দর্শন করেন। রবিবার রাতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অতিথি নিবাসে থাকবেন রাজ্যপাল। সোমবার বেলায় কলকাতায় ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে।