ভাঙড়: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে ভাঙড় যেন দুর্বৃত্তের মুক্তাঞ্চল। বোমাবাজি, গুলি, রক্তপাত, কী ঘটেনি? সকালেই ভাঙড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘুরে দেখেছেন এলাকা। বৃহস্পতিবার হিংসার ঘটনায় মৃত্যু হয় আইএসএফ কর্মী মইনুদ্দিন মোল্লার। শুক্রবার তাঁর গ্রাম জয়পুরিয়ায় শোকের আবহ। মৃতের বাড়িতে যেতে পারেন রাজ্যপাল। তার আগে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছে বম্ব স্কোয়াড। ভাঙড়ের জয়পুরিয়া গ্রামের মইনুদ্দিন মোল্লা। বৃহস্পতিবারের গোলমালে প্রাণ হারান তিনি। ইতিমধ্যেই বাড়িতে পৌঁছেছে তাঁর দেহ। বাড়ির দাওয়ায় গোলাপি চাদরে ঢাকা তা। বাড়িতে পুলিশের ভিড়। উপচে পড়েছে এলাকার লোকজনও। সকলেরই উঁকিঝুঁকি। মইনুদ্দিনের বাবা কুতুবআলি মোল্লার কথায়, সব পরিকল্পনা করে করেছে। পুলিশ তো চুপচাপ।
ছেলের দেহ ঘরে ফেরার পর থেকেই বারবার সংজ্ঞা হারাচ্ছেন মা। বাড়ি ভর্তি লোকজন। এতো মানুষ, মায়ের বুক যেন আরও ভাঙছে। তাই বাড়ির সামনেই গাছের ছায়ায় শুইয়ে রাখা হয়েছে তাঁকে। স্বজনরা ঘিরে রেখেছে তাঁকে। মইনুদ্দিনের বাবা ভ্যান চালান। কষ্টের সংসার। এভাবে ছেলের চলে যাওয়া বিনা মেঘে বাজের মতো।
আইএসএফ করেন মহম্মদ আলামিন মোল্লা। মইনুদ্দিন সম্পর্কে ভাইপো হন। আলামিন বলেন, “আরাবুল সওকত লোক ভাড়া করে এনে ভাঙড় রেখেছিল। আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে বাধা দেয়। সকলে মিলে প্রতিরোধ করি, তাই মুড়ি মুড়কির মতো গুলি বোমা চালিয়েছে। আশেপাশের গ্রামগুলি ভয়ে এখনও কাঁপছে। আমার ভাইপো হয় মইনুদ্দিন। ওকে টার্গেট করে মাথায় গুলি করে দিয়েছে। ও আইএসএফের প্রার্থীর প্রস্তাবক ছিল। প্রার্থীও মনোনয়ন দিতে পারল না।”