দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২০০০ সালে জয়নগর-মজিলপুর পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ। বাম আমলে কংগ্রেস পরিচালিত এই পুরসভার বেশ কয়েকটি নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। যা নিয়ে জোর চর্চা বিভিন্ন মহলে। যদিও এ নিয়ে তৎকালীন কংগ্রেস পুরপ্রধান বলেন, নিয়োগে কোনওদিনই বেনিয়ম হয়নি। অন্যদিকে স্থানীয় সিপিএম নেতা পুলক বসু জানান, একের পর এক তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর বিভ্রান্তিতে কুণাল ঘোষ। তাই এ ধরনের কথা বলছেন। এদিন কুণাল ঘোষ তাঁর সোশ্যাল-পোস্টে লেখেন, “২০০০ সাল। জয়নগর মজিলপুর পুরসভায় এক নির্দেশেই গুচ্ছ নিয়োগ। কমরেড, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে যোগ্যতমদের নিয়োগ হয়েছিল কি? পরীক্ষা, ইন্টারভিউতে সাধারণ সব কর্মপ্রার্থী সুযোগ পেয়েছিলেন অংশ নেওয়ার? তেইশ বছর আগের ঘটনা। তাই চিৎকার করে পার পেয়ে যান আপনারা। তদন্তের নথি পাওয়া যায় না। তবু, মানুষ দেখুন। তদন্ত দরকার তো বটেই।’ এই পোস্ট নিয়ে শুরু হয় হইচই।
প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো এই জয়নগর-মজিলপুর পুরসভা। আর সেই পুরসভার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ। বর্তমান তৃণমূল পুর প্রধান সুকুমার হালদারকে এই পোস্ট নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “২০২২ সালে আমি পুরসভার দায়িত্ব নিয়েছি। সেই সময় ক্যাজুয়াল থেকে যাঁদের স্থায়ী করা হয়েছে, কীভাবে করা হয়েছে সেটা ওরাই ভাল বলতে পারবে।”
২০০০ সালে বাংলার মসনদে বামফ্রন্ট। তবে জয়নগর-মজিলপুর পুরসভা ছিল কংগ্রেসের। পুরপ্রধান ছিলেন প্রশান্ত সরখেল। দীর্ঘদিন তিনিই ওই পদে ছিলেন। কুণালের এই পোস্ট নিয়ে তিনি বলেন, সঠিক পদ্ধতি মেনেই নিয়োগ করা হয়েছিল। সে সময় যে সমস্ত অস্থায়ী কর্মী ছিলেন, সরকারি নির্দেশ মেনেই তাঁদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য পুলক বসু বলেন, “আমরা কোনওদিন এই পুরসভায় ছিলাম না। স্বাধীনতার পর থেকে ছিলাম না। ২০২৩ সালেও নেই। পুরসভা কংগ্রেসের ছিল। বামফ্রন্টের জমানায় বরাবরই কংগ্রেস পরিচালনা করেছে। তৃণমূল আসার পরও কংগ্রেসের হাতে ছিল। পরবর্তীকালে তা লুঠ করেছে তৃণমূল। আর নিয়োগে একটা আইন আছে। কুণালবাবু খুব ভাল করে বোধহয় হোমওয়ার্ক করেননি। এতটাই ওনারা জড়িয়ে গিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে, অন্য দুর্নীতিতে তাতে সিবিআই মনে হয় আরও অনেকটাই যাবে। তাই উনি বিভ্রান্ত।”