দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, লোহার হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে মারেন কমল হালদার নামে ওই ব্যক্তি। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার অন্তর্গত পিয়ালি এলাকায়। নিহতের নাম সুপর্ণা হালদার (৪০)। ঘটনায় অভিযুক্তের নাম কমল হালদার। অভিযোগ, এই ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই অভিযুক্ত কমলের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জীবনতলা থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। জীবনতলা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হতো। মাঝেমধ্যেই অশান্তির কারণে সুপর্ণা হালদার বাপের বাড়ি চলে যেতেন। আবার ফিরে এসে সংসার করতেন। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটতে পারে ভাবতেই পারেননি বাড়ির লোকেরা। হতবাক ছেলে সোমনাথও। শুক্রবার এলাকায় কালীপুজোর ভাসান ছিল। সোমনাথ সেখানে গিয়েছিলেন। ঘরে মা একাই ছিলেন। ঘরে ফিরে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন মা।
সুপর্ণা হালদারের ছেলে সোমনাথ হালদার বলেন, “পাড়ায় কালীপুজোর ভাসান ছিল। মা যাবে বলছিল। কিন্তু বাবা যেতে দেয়নি। জেদ করেছে বলে হয়ত এরকম করেছে। মা, বাবার মধ্যে ঝামেলা প্রথম থেকেই দেখছি। অনবরত হতেই থাকে। মাকে নিয়ে অনেকবার মামারবাড়িতেও চলে গিয়েছি। আবার এসেছি। আমি বাবাকেই সন্দেহ করছি। এই ঘটনার পর থেকে বাবার খোঁজ নেই। কোথায় জানিও না।”
স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল হাওলাদারের কথায়, “স্বামী স্ত্রীর দীর্ঘদিনের ঝামেলা। প্রায়ই অশান্তি হতো জানি আমরা। প্রায় প্রায়ই বউ বাপের বাড়ি চলে যেত। শুক্রবারই আমি ওদের বাড়ির সামনে বসে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলি। ওদের বোঝালাম ছেলেটা বড় হচ্ছে, ঝামেলা করিস না। মিলেমিশে থাক, আর অশান্তি করিস না। কিন্তু কাল পুজোর ভাসান ছিল। সাড়ে ৯টায় আমরা বেরিয়ে যাই পূর্ব পাড়ায়। এরপরই ছেলে বাড়িতে ফিরে দেখে মায়ের ভয়ঙ্কর অবস্থা।” পলাতক কমল হালদারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে জীবনতলা থানার পুলিশ।