ভাঙড়: গত শুক্রবার রাত থেকে ঝামেলা শুরু হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে (Bhangar)। শনিবার কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার দু’দিন পার করে সোমবারও থমথমে এলাকা। অভিযোগ, শনিবার হাতিশালায় আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, তারপর থেকে বহু আইএসএফ (ISF) কর্মী ও সমর্থক এখনও ঘরছাড়া। ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি, পুলিশ ও তৃণমূলের (Trinamool) যৌথ চোখ রাঙানির কারণেই ঘরে ঢুকতে ভয় পাচ্ছেন তাদের দলের লোকজন। তাদের অভিযোগ, অন্যায়ভাবে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে আটকে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, এরইমধ্যে আজ সোমবার বৈঠকে বসছে আইএসএফের রাজ্য কমিটি। শাসকের উপর চাপ বাড়াতে কোন পথে তাদের আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাবে, তার জন্যই কি এই বৈঠক, উঠছে প্রশ্ন।
যদিও আইএসএফ কর্মীদের ঘরছাড়া থাকার বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, কোনও হুমকি, ভয় দেখানোর প্রশ্নই নেই। ওরাই স্বেচ্ছায় অন্য জায়গায় গিয়ে থাকছে। সোমবার সকালেও দেখা গিয়েছে বাড়ি থেকে দূরে আমবাগান কিংবা ফসলের ক্ষেতে বসে রয়েছেন আইএসএফ কর্মীরা। এরকমই এক আইএসএফ কর্মী বলেন, “আমরা আতঙ্কিত। এলাকায় যেভাবে পুলিশ টহল দিচ্ছে, যেখানে আইএসএফ কর্মী দেখছে তুলে থানায় নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিধায়কও পুলিশ হেফাজতে। আমরা খুব ভয়ে। এই সুযোগে ভাঙড়ের সব আইএসএফ কর্মীকে তুলে নিয়ে তৃণমূল এলাকায় অশান্তি ছড়াবে কি না।”
আইএসএফ কর্মীদের পরিবারের লোকজনও বলছেন, ছেলেরা ঘরছাড়া। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। বাড়ির মহিলারা চিন্তায় আছেন। এলাকায় পুলিশ ঘুরছে। এলাকায় ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
যদিও ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, “ইতিমধ্যে আইএসএফের যারা ছোট বড় নেতা, নওশাদ সিদ্দিকি গ্রেফতারের পর ভয় পেয়ে গিয়েছে। তারাই এলাকা ছেড়ে রয়েছে। আমরা কোনও আইএসএফ কর্মীকে হুমকি দিইনি, ভয় দেখানোর চেষ্টাও করিনি। আমরা জানি, আইন আইনের পথে চলবে। কারা তিনটে অফিস ভাঙল, কারা আক্রমণ করল, সেটা ইতিমধ্যেই লেদার কমপ্লেক্স থানা দেখছে। অভিযোগও দায়ের হয়েছে অনেকের নামে। ওটাই আইএসএফ কর্মীদের ভয়। কার নামে অভিযোগ হয়েছে, কে গ্রেফতার হবে, ভয় থেকে বাড়িছাড়া।”