Baruipur: খালি পায়ে প্যারেডে সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা, অত্যন্ত বিরক্ত অধ্যক্ষ বিমান

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 03, 2023 | 10:58 AM

South 24 Parganas: বারুইপুর ব্লকের মাদারহাট অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাঠে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর মহকুমার ৪৩ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল।

Baruipur: খালি পায়ে প্যারেডে সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা, অত্যন্ত বিরক্ত অধ্যক্ষ বিমান
খালি পায়ে পড়ুয়ারা।

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বারুইপুরে (Baruipur) মহকুমাভিত্তিক প্রাইমারি স্কুল পড়ুয়াদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। সেখানে প্রতিযোগিদের পায়ে দেখা গেল না জুতো। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বারুইপুর ব্লকের মাদারহাট অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাঠে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর মহকুমার ৪৩ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। তাতে অংশ নিয়েছিল বারুইপুর মহকুমার অধীনে থাকা সমস্ত ব্লকের বাছাই করা প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া। সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে এই ঘটনা ঘটে। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এতে খুবই বিরক্তি প্রকাশ করেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অবর স্কুল পরিদর্শকের (প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মূলত মহকুমা স্তরের প্রাথমিক স্কুল পড়ুয়াদের নিয়েই বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল এদিন। সেই প্রতিযোগিতায় ভাঙড়, সোনারপুর উত্তর, সোনারপুর দক্ষিণ,বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, জয়নগর ও কুলতলি বিধানসভা এলাকা থেকে পড়ুয়ারা অংশ নিয়েছিল।

কিন্তু অধিকাংশ পড়ুয়া খালি পায়ে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। যা নজরে আসে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর তিনি তাঁর বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “কিন্তু আমাদের এখানে যে আধিকারিক রয়েছেন, একটা কথা বলব, প্রত্যেকটা বাচ্চার পায়ে জুতো কিনে দেবেন। বাচ্চারা খালি পায়ে হাঁটছে দেখে এটা একদম ভাল লাগে না। কেন এটা আপনারা করেননি আমি জানি না। আজ দেখলাম বাচ্চাগুলো এসেছে, সুন্দর পোশাক পরেছে। অথচ পায়ে জুতো নেই।”

স্বাভাবিক কারণেই এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, “শুনলাম ওদের জুতো দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরে আসেনি। খতিয়ে দেখব। তবে স্কুলের দায়িত্বে যাঁরা, বাচ্চাগুলো যখন মাঠে এল, তা দেখা উচিত ছিল। বিধানসভায় গিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট দফতরের যাঁরা আছেন, ডেকে পাঠাব।”

বাবু বলেন,ঘটনাটি কেন ঘটেছে তা আমি খতিয়ে দেখব। খোঁজখবর ও নেব এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদেরকে বিধানসভায় তাদেরকে তলব করে কথা বলব। তবে এটা হওয়া উচিত ছিল না। যদিও এই বিষয়ে সাফাই দিতে গিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি অজিত নায়েক বলেছেন। প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত ক জামা ব্যাগ ও জুতো দেওয়া হয়। শুধুমাত্র জেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দেয়া হয় কেটস।কিন্তু মহকুমা প্রতিযোগিতায় দেওয়া হয় না।তবে তাদেরকে দিতে পারলে ভালো হতো।

Next Article