নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি বিজেপির হবে। রবিবার নন্দীগ্রামে গোকুলনগর পঞ্চায়েতে কর্মী সম্মেলন থেকে এমনই দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, বটকৃষ্ণ-সহ যে ২৭ জন বিজেপি কর্মী কুণাল ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে গিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, তাঁরা সকলে ফিরে এসেছেন। তাঁরা কেউ তৃণমূলের পতাকা ধরেননি বলেও দাবি জানান শুভেন্দু। একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে টোটোয় চেপে গ্রামে গ্রামে ঘুরবেন।
এদিন বটকৃষ্ণ-সহ ২৭ জনের ঘর ওয়াপসি হয়েছে জানিয়ে তৃণমূলের প্রতি শুভেন্দুর কটাক্ষ, “শিকড় আমার অনেক গভীরে। এই শিকড় উপড়ানো এত সহজ নয়। এটা জেনে রাখা দরকার। আমার মাটি খুবই শক্ত। বটকৃষ্ণ সহ ২৭ জন তৃণমূলে ছেড়ে আমাদের কাছে ফিরে এসেছে। তারা কখনও তৃণমূলের পতাকা ধরেনি। কেবল দলে একটু মনোমালিন্য হয়েছিল।” এরপরই তাঁর দাবি, “নন্দীগ্রামের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। আগামী ভোটে তার ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আমাদের হবে। বাকি ৫টিতে প্রধান কে হবেন, সেটা বিজেপির সদস্যরা ঠিক করে দেবেন। আমরা ঠিক করব, প্রধান কে হবেন। দুটো পঞ্চায়েত সমিতি আমরাই পাব।”
গত ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করেছিল তৃণমূল। আর আগামী ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে বিজেপির জনসভা রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে কার্যত হুঙ্কারের সুরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সেদিন (৩ ডিসেম্বর) ওরা এক ঝুড়ি লোক নিয়ে সভা করেছিল। ৯ টি জেলা থেকে লোক নিয়ে আসতে হয়েছিল। আমি সাতটা বিধানসভার হাফ লাখ লোক নিয়ে সভা করব। উচ্চ আদালত অনুমতি দিয়েছে।” নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণও করেন তিনি। এরপরই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে নিজে জনসংযোগে নামবেন বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে আমি প্রতিটি কর্মীদের বাড়ি যাব। গাড়িতে করে নয়, যাব টোটো করেই।”
টোটোয় চেপে গ্রামে জনসংযোগ নিয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । তিনি বলেন, “এতে নতুন কথা কী আছে। বীরবাহা হাঁসদা প্রকাশ্যে ওঁকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। শুভেন্দু বীরবাহার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। বীরবাহার পাড়ায় সিকিউরিটি ছাড়া যান।”