বারাকপুর: ‘সবে তো পদ্মফুলের কুঁড়ি ফুটেছে। আমার ঘরেও পদ্ম ফোটাবো।’ খড়দার প্রকাশ্য মঞ্চে জানিয়ে দিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, তবে কি এবার তৃণমূলের আরও দুই সাংসদও তৃণমূল ছাড়তে চলেছেন। যদিও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু এই নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুভেন্দুর মন্তব্যটিকে কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী জানান, শুভেন্দুর মন্তব্য শুনিনি, তাই মন্তব্য করব না।
এর আগে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “যে নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোটাতে পারে না সে নাকি বাংলায় পদ্ম ফোটাবে। লজ্জা করে না!” সেই সূত্র টেনেই পাল্টা শুভেন্দু বলেন, “আমি বলছি বাবুসোনা, আমি তো অকৃতদার। এখনও তো বাসন্তী পুজো আসেনি, রামনবমী হয়নি। ফুটবে তো। আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। তোমার বাড়ির ভিতরেও ঢুকবো।”
আরও পড়ুন: বিজেপির পথে এবার শিশির-দিব্যেন্দু? জল্পনা নিজেই উস্কে দিলেন শুভেন্দু
শুভেন্দুর অধিকারীর এই বক্তব্যের রাজনৈতিক তাৎপর্য কতটা তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তিনি তৃণমূল ছাড়ার পর থেকেই শাসক দলের নেতারা তাঁকে আক্রমণ করতে গিয়ে গোটা অধিকারী পরিবারকেই তুলোধনা করেছে। এদিন আবার কাঁথি পৌরসভার প্রশাসকের পদ থেকে শুভেন্দুর আরেক ভাই সৌমেন্দুকেও অপসারণ করা হয়েছে। ফলে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের সম্পর্কটাও তলানিতে ঠেকে যাওয়ার পথে। এই অবস্থায় শান্তিকুঞ্জের বাকি সদস্যরাও পদ্মফুলে আশ্রয় নেন কিনা সেটাই দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: আজও চর্চায় রবীন্দ্রনাথ, সোনার বাংলায় হাত দিলে ‘বুঝে নেওয়ার’ হুঁশিয়ারি মমতার