সৌরভ গুহ: ৭ জানুয়ারি ঘিরে শুভেন্দু-তৃণমূল তরজা তুঙ্গে। এদিন একদিকে যেমন নেতাই গণহত্যা দিবস, অন্যদিকে এদিনই আবার নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসও। এবার এই দুই জায়গাতেই কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। পাল্টা কর্মসূচি রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীরও। তবে সকাল পর্যন্ত গড়াতে হল না রাতেই শহিদ স্মরণ করলেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
মেদিনীপুরের ‘ভূমিপুত্র’ সুর চড়িয়ে বললেন, ” আমি ছিলাম ,আছি, থাকবো। এখন সামনে নির্বাচন। তাই অনেকেই এখন আসবে। ভোটের জন্য আসবে বলা হয়েছিল, আমি নাকি শহিদ মিনারে ঢুকতেই পারবো না। আমাদের রক্ত চক্ষু দিয়ে রোখা যাবে না।”
রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই লড়াই হবে, নন্দীগ্রামে শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর। @SuvenduWB । @BJP4Bengal । #TV9Bangla pic.twitter.com/RhqF9meoov
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) January 7, 2021
এখানেই শেষ নয়। শুভেন্দু জানালেন, তিনি রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এখানে আসেননি। স্লোগান তুললেন, শেখ সেলিম অমর রহে। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়ল না। বিজেপির দাবি, শুভেন্দু শহিদ বেদিতে যাওয়ার পর সেখানে বোমাবাজি হয়।
২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি। জমিরক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ভরত মণ্ডল, শেখ সেলিম ও বিশ্বজিৎ মাইতির দেহ উদ্ধার হয় স্থানীয় সোনাচূড়ার ভাঙাবেড়া সেতুর কাছ থেকে। এই তিনজনকে জমি রক্ষা আন্দোলনের প্রথম ‘ শহিদ’-এর সম্মান দেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের স্মরণ করেই প্রতি বছর ভাঙাবেড়ায় শহিদ বেদীতে মাল্যদান করে তৃণমূল নেতৃত্ব।