ঘাটাল-নামখানা: স্কুল (School) বিল্ডিংয়ের বেহাল দশা। তাই ক্লাসে আসা বন্ধ পড়ুয়াদের। জেলা প্রশাসন স্কুলে পড়াশোনা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এখন রোটেশন অনুযায়ী, কখনও অফলাইন কখনও অনলাইনে চলছে কয়েকটি ক্লাস। স্কুলের নাম সূর্যকুমারী হেমাঙ্গিনী হাইত বালিকা বিদ্যালয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের এই স্কুলের হাল এত খারাপ কেন জানেন? সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে কোনও ম্যানেজিং কমিটি নেই। থমকে রয়েছে স্কুলের উন্নয়ন। কোনও ক্লাসে চাঙড় ভেঙে পড়ছে, কোথাও আবার বৃষ্টি হলেই ক্লাসে জল পড়ে।
একই ছবি পূর্ব মেদিনীপুরের একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের। বেহাল অবস্থা গোটা স্কুলের। স্কুলের ভগ্নদশা অভিভাবকদের ক্ষোভও দীর্ঘদিনের। ছাউনি নেই। রান্নাঘরের বারান্দায় বসে লেখাপড়া চলছে। তিন বছর ধরে এভাবেই চলে আসছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নামখানার একটি স্কুল। আবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় রাধাবল্লব জুনিয়র হাইস্কুল। কোনও পড়ুয়া নেই। অগত্যা দুজন মাস্টার আসেন যান, মাইনে পান।
সূত্রের খবর, বছর তিনেক আগে আমফানে উড়ে গিয়েছিল শিক্ষাকেন্দ্রের ছাউনি। ঝড়ের ধাক্কা কাটিয়ে এলাকা ছন্দে ফিরলেও, ছাউনি ফেরেনি শিক্ষাকেন্দ্রে। তাই পড়ুয়াদের ভরসা, রান্না ঘরের বারান্দা। নামখানার দ্বারিকানগর ভিআই লেনিন শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের কঙ্কালসার চেহারা। এই পরিস্থিতিতে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যাও কমছে দিন দিন। এক সময় পড়ুয়া সংখ্যা ছিল শতাধিক। বর্তমানে পুরুয়া সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৭ জনে। উনুনের ধোঁয়া শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা করে শিশুদের। অভিভাবকদের অভিযোগ, বারবার সমস্যার কথা জানিয়েও হয়নি সুরাহা।
এদিকে সরকারি ভাবে একাধিক বার স্কুলের ছাদ তৈরির নির্দেশ এসেছে। কিন্তু ছাদ হয়নি। দুর্দশা শুধু নামখানায় নয় পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নাতেও। রাধাবল্লব জুনিয়র হাইস্কুলের অবস্থা আরও ভয়াবহ। শিক্ষক আছে, পড়ুয়াই নেই। প্রতিমাসে শিক্ষকরা বেতন নিয়ে যান। কিন্তু, পড়ুয়া না থাকায় ক্লাস হয় না। স্কুলের চেহারা ভূতুড়ে বাড়ির মতো। প্রশ্ন উঠছে, এই পরিকাঠামোয় কীভাবে গড়ে উঠবে এ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ?