কলকাতা: অধিকারী পরিবারের দুই ছেলে ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে (BJP)। বাকি রয়েছেন দু’জন। এক শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari), দুই দিব্যেন্দু অধিকারী। উভয় সাংসদই কাগজে কলমে এখনও রয়েছেন তৃণমূলে (TMC)। যদিও কতদিন তাঁরা থাকবেন সেই নিয়ে জল্পনা অব্যাহত রাজনৈতিক মহলে। এর মধ্যে বিতর্ক উস্কে দিয়ে শিশির অধিকারী রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। পালটা কটাক্ষ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়র (Partha Chatterjee)। তাঁর মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তবে কি কাঁথির প্রবীণ সাংসদও যোগ দেবেন বিজেপিতেই।
শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য তাঁর পরিবারে পদ্ম ফোটার কথা আগেই বলে রেখেছেন। সম্প্রতি একাধিক সভায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, রামনবমীর পরই শান্তিকুঞ্জে পদ্ম ফুটবে। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই এ দিন TV9 বাংলাকে শিশির বলেন, “আমাকে ঘরের লোকই বিজেপির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমার পরিবারকে আক্রমণ করা হচ্ছে। বারবার শুভেন্দুকে নিশানা করা হচ্ছে। আমি না চাইলেও আমাকে বাধ্য করা হচ্ছে।” এখানে ঘরের লোক বলতে বস্তুত তিনি যে তৃণমূল শিবিরকে বোঝাতে চেয়েছেন, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।
বরিষ্ঠ সাংসদের বক্তব্যের পালটা দিয়েছেন পার্থও। বুধবার তিনি বলেন, “শিশিরদা প্রবীণ মানুষ। সবাই বুঝতে পারছে তাঁর হৃদয়টা কোথায় আর শরীরটা কোথায়। সবাই বুঝছে উনি (বিজেপির দিকে) দু-পা বাড়িয়ে আছেন।”
পাশাপাশি নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে বিজেপির হয়ে শুভেন্দু অধিকারীই ময়দানে নামতে পারেন, এমন ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই আসনে প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীর নাম নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।যদি মমতা এবং শুভেন্দুর মুখোমুখি লড়াই হয় সেক্ষেত্রে তিনি কার সাফল্য দেখতে চাইবেন? এখানেও শিশিরবাবুর অকপট জবাব, “বাবা হিসেবে চাই ছেলের মঙ্গল হোক।”
আরও পড়ুন: এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম! মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথ কি অবশ্যম্ভাবী? স্পষ্ট করলেন দিলীপ
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত তাঁর পরিবারের সদস্য বলতে কেবল সৌমেন্দুই গেরুয়া শিবিরে গিয়েছেন। যদিও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়েও জল্পনা দীর্ঘ দিনের। দিনকয়েক আগে হলদিয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারি মঞ্চে উপস্থিত হয়ে দলবদলের জল্পনা কিঞ্চিৎ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন দিব্যেন্দু। যদিও এখনও পর্যন্ত তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনি এই পদক্ষেপ করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। এ বার শিশির অধিকারী কোন পথে হাঁটেন সেই দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করা দেশদ্রোহিতা নয়: সুপ্রিম কোর্ট