TMC: বড়ঞায় বোমাবাজিতে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর, শাসকদলের গোষ্ঠীসংঘর্ষের অভিযোগ

TMC: এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে পাপড্ডা গ্ৰামের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে বর্তমান অঞ্চল সভাপতি ইব্রাহিম শেখের বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরেই এদিন উত্তেজনা ছড়ায় বলে অভিযোগ।

TMC: বড়ঞায় বোমাবাজিতে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর, শাসকদলের গোষ্ঠীসংঘর্ষের অভিযোগ
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তেজনা বড়ঞায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 28, 2023 | 9:58 PM

বহরমপুর: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের প্রকট হয়ে উঠল শাসকদলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষ। এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানা এলাকায় এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় মুড়ি-মুড়কির মত বোমা পড়ে এলাকায়। ভাঙচুর করা হয় রাস্তায় পার্কিংয়ে থাকা মোটরবাইক। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ২ জন। তারপর বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ জানায়, মৃত নাম আমির শেখ। বড়ঞা থানার অন্তর্গত পাপড্ডা গ্ৰামের যুবক আমির শেখ এলাকায় তৃণমূল কর্মী এবং প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির অনুগামী হিসাবে পরিচিত। বাড়ি ফেরার পথে বোমার আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। বর্তমান অঞ্চল সভাপতি ইব্রাহিম শেখের অনুগামীরাই আমিরকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে আমিরের দুই সঙ্গী গুরুতর জখম হয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে পাপড্ডা গ্ৰামের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে বর্তমান অঞ্চল সভাপতি ইব্রাহিম শেখের বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরেই এদিন ইব্রাহিম শেখের অনুগামীরা প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতির অনুগামী আমির সহ তাঁর সঙ্গীদের উপর হামলা চালায় এবং বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। আচমকা বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন আমির। আরও ২ জন গুরুতর জখম হন। তারপর তাঁরা পাল্টা প্রতিবাদ জানালে দু-পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে এবং এলাকায় মুড়ি মুড়কির মত বোমা পড়ে। তারপর খবর পেয়ে বড়ঞা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বোমার আঘাতে গুরুতর জখম আমির সহ ২ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। হাসপাতালের চিকিৎসক আমির শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি ২ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্তরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে বড়ঞা থানার পুলিশ জানিয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন হয়েছে।

এদিকে, এটা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফল বলে অভিযোগ উঠলেও সেকথা অস্বীকার করেছেন বড়ঞা ব্লকের সহ সভাপতি মাহে আলম। তিনি বলেন, “সব ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ বলা ঠিক নয়। বিষয়টা আমাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।” তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ইব্রাহিম শেখের বিরুদ্ধে ওঠা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি আরও বলেন, “এই হামলার ঘটনায় যে দোষী প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”