Kunal Ghosh: ‘দিনে ১৪ বার নন্দীগ্রামে আসছেন, ঘুম ছুটেছে শুভেন্দুর’, কটাক্ষ কুণালের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Dec 11, 2022 | 10:50 PM

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতৃত্বদের বুথ ধরে ধরে মহিলাদের টিম গঠন করারও নির্দেশ দেন কুণাল ঘোষ। বিজেপি থেকে মহিলাদের তৃণমূলে টানার পরামর্শ দেন তিনি।

Kunal Ghosh: দিনে ১৪ বার নন্দীগ্রামে আসছেন, ঘুম ছুটেছে শুভেন্দুর, কটাক্ষ কুণালের

Follow Us

নন্দীগ্রাম: ডিসেম্বরে ধামাকা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারই পাল্টা এবার নন্দীগ্রামে গিয়ে কুণাল ঘোষের দাবি, নন্দীগ্রামে মানুষের যেভাবে অভ্যুত্থান হচ্ছে, যেভাবে বিজেপি থেকে কর্মীরা বেরিয়ে আসছেন তাতে ঘুম ছুটে গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। এপ্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতাকে বাংলার কথা না ভেবে নিজের ঘর সামলানোর পরামর্শ দেন কুণাল। একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী টেট আন্দোলনকারীদের প্ররোচনা দিচ্ছেন অভিযোগ তুলে যারা ১০০ দিনের কাজের টাকা পাননি, তাঁদের শান্তিকুঞ্জে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন কুণাল। যদিও এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

জানা গিয়েছে, এদিন নন্দীগ্রামে চাটাই বৈঠকে যোগ দিতে আসেন কুণাল ঘোষ। নন্দীগ্রাম- ১ ব্লকের সোনাচূড়ার চাটাই বৈঠকে কুণাল ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়া, ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ সহ স্থানীয় নেতৃত্বরা। সেই বৈঠকে বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা করার পাশাপাশি রাজ্যের জনমুখী যাবতীয় প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

নন্দীগ্রামে বিজেপির মধ্যে ভাঙন ধরেছে এবং শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগীদের ঘরওয়াপসি করাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বলে তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে মানুষের যেভাবে অভ্যুত্থান হচ্ছে, যেভাবে বিজেপি থেকে কর্মীরা বেরিয়ে আসছেন, তাতে ঘুম ছুটে গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। সারাদিনে ১৪ বার নন্দীগ্রামে আসছেন। কে কী ভাবে চলে গিয়েছে, তাঁকে কী ভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করতে হচ্ছে।” ডিসেম্বরে সরকার পড়ে যাবে বলে বারবার দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই প্রসঙ্গ কুলে এদিন শুভেন্দুকে নিজের ঘর সামলানোর পরামর্শ দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “নিজের বিজেপির ভিতর ঠিক নেই। ওঁ এসেছেন গলাবাজি করে বাংলা নিয়ে মস্তানি করতে।”

শুভেন্দু ব্যক্তিস্বার্থে ধান্দাবাজির রাজনীতি করেন বলেও অভিযোগ করেন কুণাল। ত্রিপুরার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বাংলার টাকা বন্ধ করাচ্ছে। তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু কষ্টে স্কিমগুলি চালু রেখেছেন। চাকুরিপ্রার্থীদের প্ররোচনা দিচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, চাকরি নিয়ে যাদের গন্ডগোল হয়েছে তারা সবাই কালীঘাটের দিকে যাবে। এটা কথা! কী ইঙ্গিত দিচ্ছে! ত্রিপুরায় ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গেছে আদালতের রায়ে। তাহলে আমরা বলি, যাঁরা ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না তাঁরা শান্তিকুঞ্জের দিকে যাবেন। ওখানে অ্যাকাউন্ট আছে। যাঁদের টাকা আটকেছে সেখানে যান টাকা নিয়ে আসুন। কিন্তু আমরা এই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করি না। ফলে ব্যক্তি আক্রমণ, কুৎসা, ঝগড়া, বিবাদ এগুলিকে বন্ধ করান।” যদিও এর জবাব দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা হুঁশিয়ারি, “তোমরা (তৃণমূল) যে নোংরামি করছ সেটা করে দেখাও, যদি সেটা কর তাহলে আমরাও দেখাব, যস্মিন দেশে যদাচার।”

এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতৃত্বদের বুথ ধরে ধরে মহিলাদের টিম গঠন করারও নির্দেশ দেন কুণাল ঘোষ। বিজেপি থেকে মহিলাদের তৃণমূলে টানার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “ঘোষিতভাবে যে মা-বোনেরা বিজেপি করেন তাঁদের গিয়ে বোঝান। সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর কথা বলুন। আমরা উন্নয়ন নিয়ে যাব। ওরা ধর্ম নিয়ে যাবে।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর অনুগামী বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের একাধিক বিজেপি নেতা। এদিন গোকুলনগরের এক কর্মসূচিতে দলত্যাগী যুব মোর্চার নেতা বটকৃষ্ণ দাস-সহ ২৭ জন পুনরায় দলে যোগদান করেছেন বলে দাবি করা হয় বিজেপির তরফে। সেই দাবি এদিন খারিজ করে দেন কুণাল ঘোষ।

Next Article