TMC: ই-টেন্ডারে ‘স্বজনপোষণ’, পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে প্রধানের হাতাহাতি

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Jan 28, 2023 | 7:18 PM

এক পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁদের হাতাহাতির ঘটনা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

TMC: ই-টেন্ডারে স্বজনপোষণ, পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে প্রধানের হাতাহাতি
তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে হাতাহাতি।

Follow Us

মালদা: তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এবার স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত তৃণমূল পরিচালিত সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। তিনি মোটা টাকার বিনিময়ে আত্মীয়কে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। শুধু অভিযোগ ওঠা নয়, এক পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁদের হাতাহাতির ঘটনা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে এলাকায়।

জানা গিয়েছে, মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত তৃণমূল পরিচালিত সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইন্দ্রজিৎ দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই পঞ্চায়েতেরই সদস্য আরজাউল হক এই অভিযোগে সরব হয়েছেন এবং তাঁর সঙ্গেই প্রধান ইন্দ্রজিৎ দাসের হাতাহাতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আরজাউল হক ওই পঞ্চায়েতের ঠিকাদার।

আরজাউল হকের অভিযোগ, সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইন্দ্রজিৎ দাস মোটা টাকার বিনিময়ে ৫৫ লক্ষ টাকার ই-টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন নিজের লোককে। এরপর সময়ের আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওয়েবসাইট। ফলে অন্যান্য ঠিকাদাররা ডিসিআর কাটতে পারেননি। আরজাউল হক ঘটনাটি তুলে ধরতে এবং প্রধানের বিরুদ্ধে সরব হতেই দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপর পরস্পর পরস্পরকে ধাক্কাধাক্কি করে এবং দুজনের মধ্যে হাতাহাতিও বাধে। আরজাউল হকের সঙ্গে প্রধান ইন্দ্রজিৎ দাসের সেই ধাক্কাধাক্কি এবং হাতাহাতির ভিডিয়ো বর্তমানে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

প্রধানের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যের হাতাহাতির ভিডিয়ো সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের কাছে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ তৃণমূলের সবাই ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দল করে। সমাজবিরোধী, তোলাবাজ, সিন্ডিকেটবাজদের নিয়ে এরা দল করছে।” একইসঙ্গে তাঁর খোঁচা, “এরপর মানুষ রাস্তায় ধরে তৃণমূল নেতাদের পেটাবে।”

যদিও সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে এই ঘটনার সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই দাবি জানিয়ে জেলা তৃণমূল মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, “ব্যক্তিস্বার্থে কেউ দলকে ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে দলের কোনও বিষয় নেই। এটা ব্যক্তিস্বার্থের বিষয়। এব্যাপারে দল হস্তক্ষেপ করবে না। দল সামগ্রিকভাবে মানুষের কথা চিন্তা করে।” তবে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ঘটনা যে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলছে তা বলা বাহুল্য।

Next Article