AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC: উন্নয়ন করতে বাধা দিচ্ছে দল, অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন তৃণমূলের উপপ্রধান ও অঞ্চল চেয়ারম্যান

উন্নয়ন করতে বাধা দিচ্ছে অভিযোগ তুলেই দল ছাড়লেন বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের উপপ্রধান ও অঞ্চল চেয়ারম্যান।

TMC: উন্নয়ন করতে বাধা দিচ্ছে দল, অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন তৃণমূলের উপপ্রধান ও অঞ্চল চেয়ারম্যান
দল ছাড়লেন তৃণমূলের উপপ্রধান ও অঞ্চল চেয়ারম্যান।
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2023 | 11:38 PM
Share

নারায়ণগড়: ফের শাসলকদলে ভাঙন! এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকে দল ছাড়লেন তৃণমূলের উপপ্রধান ও অঞ্চলের চেয়ারম্যান। শুক্রবারই তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোনের মাধ্যমে ব্লক সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। উন্নয়ন করতে দল বাধা দিচ্ছে অভিযোগ তুলেই এঁরা তৃণমূল ছাড়লেন বলে অভিযোগ করেছেন।

জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের রানীসরাই ১১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান গোবর্ধন হেমব্রম সহ অঞ্চলের চেয়ারম্যান বীর সিং টুডু পদ সহ দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এদিনই তাঁরা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুকুমার জানার কাছে তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোনের মাধ্যমে পদ ও দল ত্যাগের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। কাজ করতে না পারার জন্যই দল ছাড়তে বাধ্য হলেন জানিয়ে গোবর্ধন হেমব্রমের অভিযোগ, “আমি উপপ্রধান। দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি আমার এলাকার উন্নয়ন করার প্রয়োজন আছে। সেটা করতে গিয়ে দল বিভিন্নভাবে আমাকে বাধা দেয়। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।” তিনি আরও বলেন, “যতটা উন্নয়ন আমার এলাকায় হওয়ার কথা সেই অর্থে হয়নি এবং করতে দেওয়া হয়নি তাই সম্পূর্ণভাবে দল ছাড়লাম।” একই অভিযোগ বীর সিং টুডুর।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এভাবে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ অঞ্চল চেয়ারম্যানের দলত্যাগ যে শাসকদলকরে অস্বস্তিতে ফেলল তা বলা বাহুল্য। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি চলছে গ্রামে গ্রামে। আর এই কর্মসূচির ঠিক আগেই ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা গোবর্ধন হেমব্রম দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতর।

তৃণমূলের উপপ্রধান ও অঞ্চল চেয়ারম্যানের দল ছাড়ার ঘটনায় কটাক্ষ করে বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌরী শঙ্কর অধিকারী বলেন, “যাঁরা স্বচ্ছতার সঙ্গে দলে কাজ করবেন তাঁরা তৃণমূল দলে থাকতে পারবেন না। মানুষের কাছে মার খাওয়ার থেকে দল ছেড়ে নিজেদের প্রায়শ্চিত্ত করুক। তৃণমূলে থেকে চুরি করা যাবে মানুষের কাজ করা যাবে না।”

যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, এঁদের দল ছাড়ার প্রকৃত কারণ কী, তা খোঁজখবর নেবেন তিনি। তবে দিদির সুরক্ষা কবচ যে কর্মসূচি চলছে সেই কর্মসূচিতে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে তাঁর দাবি।