ঠাকুরপুকুর: ফের নারী নির্যাতনের খবর। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রতিটি জায়গা থেকে প্রকাশ্যে এসেছে এই ধরনের একের পর মর্মান্তিক ঘটনা। আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু এত কিছু পরও কোনও পরিবর্তন এল কি? দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুরপুকুর এখন তেমনটাই ইঙ্গিত করছে। নিজের মামার দ্বারাই যৌন নির্যাতনের শিকার এক বিশেষভাবে সক্ষম যুবতী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বছর নির্যাতিতার মা করোনায় মারা গিয়েছে। বারো দিন হল অসুস্থতার কারণে তাঁর বাবারও মৃত্যু হয়েছে। সেই সুযোগকেই কাজে লাগায় অভিযুক্ত মামা। অভিযোগ, ঘরের মধ্যে মেয়েটিকে একা পেয়ে যৌন নির্যাতন করে সে। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁর মামা এমন কাজ করেছে।
এরপর গতকাল রাত্রিবেলা এলাকাবাসীকে ওই যুবতীকে পুরো ঘটনা জানায়। এরপর আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল বেলায় স্থানিয় লোকজন এবং পাড়ার মহিলারা উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত মামার বাড়িতে যায়। তাকে মারধর করে। গোটা ঘটনায় অভিযোগ জানানো হয়েছে ঠাকুরপুকুর থানায়। এদিকে, গোটা বিষয়টি অস্বীকার করে মামা জানায়, ‘মেয়েটির মাথা ঠিক নেই। সেই কারণে এই সব করছে। ওকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে আমার জামাইবাবুর কিছু জিনিস আমার কাছে ছিল। সেই সব নেওয়ার জন্যই এই কাজ। যারা এই সব করছে তাদের বজ্রাঘাতে মৃত্যু হবে।’
বস্তুত, গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, মঙ্গলবার বাড়িতে একাই ছিল বছর পনেরোর নাবালিকা। অভিযোগ, সেই সময় নাবালিকার বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে ঘরে ঢোকে প্রতিবেশী যুবক। তখনই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। এরপর বাড়িতে মা এসে দেখেন ছোট্ট মেয়েটি ঘরের এক কোণে বসে রয়েছে। মেয়েকে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয় তাঁর মায়ের। পরে গোটা ঘটনা জানার পর ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে মেয়েটিকে। অন্যদিকে, প্রতিবেশীদের কথায় ওই নাবালিকার নিম্নাঙ্গ থেকে রক্তপাত হচ্ছিল। খবর পেয়ে নিউব্যারাকপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বারাসত হাসপাতালে পাঠায়। অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।