রায়গঞ্জ: আধারে বাড়ছে ভয়। কখনও কাঁথি, তো কখনও মুর্শিদাবাদ, কখনও খাস কলকাতা, বিগত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার এসেছে আধার জালিয়াতির খবর। প্রতারকদের হাতিয়ার আম-আদমির বায়োমেট্রিক তথ্য। ফিঙ্গারপ্রিন্ট চুরি করেই সাফ হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কয়েকদিন আগেই আরামবাগের এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী পড়েছিলেন আধার জালিয়াতদের খপ্পরে। খোয়া গিয়েছিল প্রায় ১ লক্ষ টাকা। কার্যত একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি এবার উত্তরবঙ্গে। AEPS এর থাবা এবার রায়গঞ্জে। শহরের এক স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল কয়েক হাজার টাকা।
AEPS বা আধার এনেবলড পেমেন্ট সিস্টেম মূলত এক ধরনের ডিজিটাল পেমেন্ট প্রক্রিয়া। কোনও ব্য়ক্তির কাছে এটিএম কার্ড না থাকলেও AEPS পেমেন্ট চলে এরকম কোনও কাউন্টারে বা সেন্টারে গিয়ে যে কোনও ব্যক্তি এখান থেকে নিজের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের টাকা তুলতে পারেন। এ ক্ষেত্রে লাগে শুধু তাঁর ফিঙ্গারপ্রিন্ট। এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
রায়গঞ্জের বীরনগরের বাসিন্দা কৌস্তভ মোদক শহরের রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবনের শিক্ষক। তিনিই হয়েছেন প্রতারণার শিকার। কিন্তু, তিনি স্পষ্টই জানাচ্ছেন তিনি কোনও অনলাইন অ্য়াপ ব্যবহার করেন না। কোনওভাবেই তিনি অনলাইে কোনও লেনদেনও করেন না। কিন্তু, তারপরেও কীভাবে তিনি সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন তা বুঝতে পারছেন না। তবে এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানাচ্ছেন কয়েকদিন আগে হুগলির চুঁচুড়ায় তিনি তাঁর পৈতৃক ভিটে বিক্রি করেন। তারপরই ঘটেছে এ ঘটনা। জমি রেজিস্ট্রির অফিস থেকে ধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। প্রসঙ্গত, কাঁথিতে কয়েকদিন আগে এক জমির দলিল লেখক AEPS প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছিলেন। বহু জায়গাতেই আবার বায়োমেট্রিক তথ্য় চুরির জন্য কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে জমির রেজিস্ট্রি অফিসকেই। তারমধ্যেই এ ঘটনা নতুন করে শোরগোল ফেলেছে নানা মহলে।