রায়গঞ্জ: বিরল প্রজাতির কচ্ছপ (Rare Tortoise) কেটে মাংস বিক্রির অভিযোগ। দক্ষিন দিনাজপুর (South Dinajpur) ও মালদা (Malda) জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কচ্ছপের মাংস সহ এক ব্যাক্তিকে আটক করল রায়গঞ্জ বন বিভাগ। বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দক্ষিন দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানা ও গাজোল থানা সংলগ্ন ওই এলাকায় হানা দেয় রায়গঞ্জ বন বিভাগের কর্মীরা। তখনই ওই ব্যাক্তিকে কচ্ছপের মাংস বিক্রি করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন বন দফতরের কর্মীরা। সেইসঙ্গে কেটে ফেলা কচ্ছপের উপরের শক্ত খোলও উদ্ধার করা হয়েছে। এই কচ্ছপ বিরল প্রজাতির বলে দাবি রায়গঞ্জ বন বিভাগের কর্তাদের।
ইতিমধ্যেই ধৃতকে জেরা করে এই কচ্ছপগুলি কোথা থেকে আনা হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছেন বন বিভাগের কর্মীরা। তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। রায়গঞ্জ বন বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, শীতের সময় মুলত উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুরে এমনকি মালদা জেলার বিভিন্ন এলাকায় কচ্ছপ পাচার ও কচ্ছপের মাংস গোপনে বিক্রি হয়। দক্ষিন দিনাজপুরের এক শ্রেনির অসাধু কারবারিরা এই চোরা কারবারে জড়িত থাকেন বলে তাঁদের কাছে প্রায়শই খবর আসে। এবারও সেই একই ধরনের একটি খবর আসে বন দফতরের কাছে। গোপন সূত্রে সেই খবর পাওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তকে ধরতে ছক কষে ফেলা হয়েছিল। তারপরেই অভিযানে নামেন বন দফতরের কর্তারা। আগামীতে এই ধরনের চোরাচালান রুখতে তাঁদের এই তল্লাশি অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বন কর্তা সৌগত মুখার্জি বলেন, “অনেকদিন ধরেই আমরা এ বিষয়ে খবর আসছিল। তারপর থেকেই ওখানে আমাদের নজরদারি চলছিল। দুই দিনাজপুরে প্রতিবছরই শীতের সময় বেআইনিভাবে কচ্ছপের মাংস বিক্রির প্রবণতা বাড়ে। গত বছরও একই ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সে জন্য প্রথম এবারে আমরা সতর্ক ছিলাম। আজ একজনকে বিরল প্রজাতির কচ্ছপের মাংস বিক্রি করার অভিযোগে ধরা হয়েছে। অবৈধ চোরাচালানের কথা ও জেরায় স্বীকার করেছে। ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে কারা জড়িত আছেন তা জানার চেষ্টা চলছে।”