রায়গঞ্জ: বিয়ে হয়েছে সাত বছর। প্রথম-প্রথম সব ঠিকঠাক। তবে পরে পরিস্থিতি একরকম থাকল না। লাগাতার অত্যাচার। বাড়ির বৌ-এর সঙ্গে। শেষমেশ ফল হল চরম। গৃহবধূকে পরিকল্পনা করে খুন করার অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জ ব্লক। সেখানে বছর সাতেক আগে রামপুরের বাসিন্দা পরিতোষ সরকারে সঙ্গে রায়গঞ্জের লহন্ডা গ্রামের বাসিন্দা লিপিকার সরকারের বিয়ে হয়। বিয়ের দু’এক বছর মোটামোটি ঠিক চললেও অভিযোগ তারপর থেকে শুরু হয় শারীরিক অত্যাচার। লিপিকার বাবা বিশ্বনাথ অধিকারী জানান, বিয়েতে একটি মোটর বাইক দেওয়ার কথা ছিল, তা দিতে না পারায় মাঝে মাঝেই বাইকের জন্য মেয়ের উপর চলত অত্যাচার। অনেকবার এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে মীমাংসাও করা হয়েছে। তবু অত্যাচার না থামায় গত ২৮ মে শনিবার রায়গঞ্জ মহিলা থানায় অভিযোগও জানানো হয়। এরপর আবার রবিবার মিমাংশা করা হয়। তারপরই গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাত্রিবেলায় মেয়ের মৃত্যুর খবর পান।
লিপিকার বাবার অভিযোগ, গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে। বিশ্বনাথ বাবু বলেন, ‘গলায় মেয়েকে ওড়না পেঁচিয়ে আমার জামাই মেরে ফেলেছে। প্রথম-প্রথম ভাল ছিল। পরে শুরু হয় অত্যাচার। আমরা অনেকবার মেটানোর চেষ্টা করেছি। লাভ হয়নি। সালিশি সভা বসিয়ে মেটাতে চেয়েছি। ওরা বাইক চেয়েছিল। দিতে পারিনি। মেয়েকে খাবার দেয় না ওরা। অসুস্থ হলে চিকিৎসা করায় না। আমরা চাই কঠোর শাস্তি হোক।’
ইতিমধ্যে মেয়ের স্বামী, শ্বাশুড়ি সহ ছয় জনের নামে রায়গঞ্জ মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানান বিশ্বানাথ অধিকারী। মঙ্গলবার মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয় রায়গঞ্জ মেডিক্যালে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।