উত্তর দিনাজপুর: ব্লকে ব্লকে সোমবার সংহতি মিছিল করেছে তৃণমূল। রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী তাঁর এলাকায় মিছিল করেন। তবে সেই মিছিলে দেখা গেল গেরুয়ার আধিক্য। গেরুয়া পতাকা, গেরুয়া রং, এমনকী উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনিও। শুধু তাই নয়, বিধায়কের এক হাতে এদিন ছিল তৃণমূলের পতাকা, অন্য হাতে গেরুয়া পতাকা। জোর চর্চা শুরু হয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ থেকে ভোটে জেতেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তবে খুব বেশিদিন বিজেপিতে থাকেননি তিনি। তৃণমূলে যোগ দেন। সেই বিধায়কের সংহতি যাত্রায় তৃণমূলের পতাকার সঙ্গে দেখা গেল গেরুয়া পতাকাও। কৃষ্ণ কল্যাণীর বক্তব্য, “রাম আমার হৃদয়ের মধ্যে আছে। আর দলের কর্মসূচি ছিল সংহতি যাত্রা। আমার এক হাতে দলের পতাকা অন্য হাতে রামের পতাকা নিয়ে সে বার্তাই দিলাম। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সবসময় বলে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা রাম নবমী পালন করি, ঈদ পালন করি, দুর্গাপুজোও পালন করি।”
যদিও অন্যদিকে জেলার তৃণমূল সহসভাপতি অরিন্দম সরকার বলেন, “বিধায়কের অবস্থান বিধায়কই বলতে পারবেন। তাঁর অবস্থানের সঙ্গে আমাদের রাজ্য কমিটির স্ট্যান্ড বোধহয় মিলছে না। মনে হচ্ছে বিধায়ক রাজ্যের অবস্থানকে টপকে নিজের কোনও অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন।” এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, “শুভ বোধোদয় হয়েছে। ভারতবর্ষে রামচন্দ্র ছাড়া কিছু হতে পারে না এটাই সত্যি।”
তবে এ চিত্র শুধু রায়গঞ্জ নয়, মালদহ-সহ একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে। মালদহে তৃণমূল কর্মীরা গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়ে, গেরুয়া পোশাকে মিছিল করেছেন। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে হেঁটেছেন তাঁরা। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় জেলা পরিবহণ দফতরের ভাইস চেয়ারম্যান তথা প্রিয়াংশু পাণ্ডে ও তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রী ১৩০ ফুট দীর্ঘ রাম মূর্তি বানিয়েছেন। প্রায় ৯ লক্ষ মাটির প্রদীপ দিয়ে তা তৈরি হয়েছে।